
The Truth Of Bengal: হুগলি, রাকেশ চক্রবর্তী: যখন যুগ হারিয়ে যায় একমুখী মেকি উন্নয়নের কৃত্তিমতায়, যুগোপযোগী হতে গিয়ে যখন প্রযুক্তি, বিজ্ঞানের নামে পৈশাচিক কৃত্তিমতা আমাদের গ্রাস করে। ঠিক তখনই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোনো শিল্পীর ব্যাতিক্রমী লেখনী, চিত্র, অভিনয়, সংগীত কিংবা নৃত্যই মানুষকে পুনর্সচেতন করে জিজ্ঞাসা করে , কোনটা বাঁচা?
কিছু হতে চাওয়া নাকি সহজাতভাবে হয়ে ওঠা সমাজের জন্য নাকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য? তাই মনে পড়ে যায় সেই কথা ‘ লেলিহান সব বক্ষ হতে, শিল্প শেখায় সরব হতে, ইতিহাস তাকে গ্রাস করেনা ; শিল্প সংজ্ঞা নিত্যতাতে । ‘এই লাইনের সাপেক্ষেই খুঁজে পাওয়া গেল ভদ্রেশ্বরের এক খুদে শিশুশিল্পী সৃজন পোদ্দারকে। চন্দননগরের অবনীন্দ্র শিল্প প্রদর্শনশালায় ১৫ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এক শিল্পতীর্থে সাত বছর বয়সী সৃজনের চিত্র সম্ভারে, সবাই পরিচয় পেল শিশুটির ব্যতিক্রমী এক রুচিশীলতা ও মনোভাবের ।
জানা যায়, ছোট্ট সৃজনের বাবাও একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী। ছোট্টসৃজন ইতিমধ্যেই ১৫ হাজারেরও বেশি ছবি এঁকে ফেলেছে। পড়াশুনার পাশাপাশি তার শখ ড্রয়িং, ফোটোগ্রাফি ইত্যাদি। উক্ত শিল্প প্রদর্শনশালায় সৃজনের ছবি নিয়েও মোট ৬০ টি চিত্র সেখানে ছিল। এই অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধেয় মুন্না আগারওয়াল। অনুষ্ঠানে শিশুশিল্পী সৃজনের শিল্পপ্রেম তার চোখে, মুখে, এমনকি বাচনভঙ্গিতেই পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। তাই সৃষ্টির আনন্দে গতানুগতিক স্মার্ট ফোন ছেড়ে চন্দননগর সর্বোপরি বাবা, মায়ের একবুক গর্ব হয়ে উঠেছে শিশুশিল্পী সৃজন পোদ্দার।