কলকাতারাজ্যের খবর

২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে আবার ডিজি বদল করল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, কে হলেন নয়া ডিজি ?

Within 24 hours, the Central Election Commission changed the DG again in the state.

The Truth Of Bengal: একদিনের মধ্যে রাজ্যের ডিজি পদে আবার বদল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবেক সহায়ের জায়গায় এলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার  পর সোমবার  রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়। সেই জায়গায় আনা হয় বিবেক সহায়কে।কিন্তু বিবেক সহায়কেও কমিশন বদল করে দিল।আপাততঃ রাজ্যের ডিজি থাকছেন ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।

সোমবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন।সেই জায়গায় আনা হয় বিবেক সহায়কে।  প্রসঙ্গতঃ রাজ্য পুলিশের ডিজি  ছিলেন রাজীব কুমার।  গত ডিসেম্বরে ডিজিপি পদে আসেন রাজীব কুমার। রাজ্য সরকার তাঁকে এই পদে বসায়। কিন্তু ভোট ঘোষণার পরই সেই রদবদলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করে নির্বাচনের তত্বাবধানে থাকা কমিশন। সোমবারই তাঁকে  সরিয়ে দেওয়ার  সিদ্ধান্ত করে কমিশন।   সেসময়  নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো তিনজনের নাম পাঠিয়েছিল নবান্ন।   সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় সহ ২জনের নাম পাঠানো হয়  ।  ডিজি হিসাবে কার নাম চূড়ান্ত হয় সেদিকে নজর ছিল সকলের।দেখা গেল,কমিশনের সিদ্ধান্তমতো, রাজ্য পুলিশের ডিজি হন বিবেক সহায়। মাত্র ২৪ঘন্টার মধ্যে আবার বদল করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে।মঙ্গলবার সকালেই  বিবেক সহায়কে  বদলি করে দেওয়ার   নির্দেশ জারি হয়  ।তাঁর জায়গায় বাছা হয়  ১৯৮৯ সালের আইপিএস ব্যাচের অফিসার  সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে  ।

রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে সই রয়েছে সচিব রাকেশ কুমারের। চিঠিতে জানানো হয়, রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে সঞ্জয়কে বসানোর অনুমতি দিয়েছে কমিশন।  এর আগে ২০১৬ বিধানসভা ও ২০১৯-এর লোকসভায় একাধিক আধিকারিককে পরিবর্তন করা হয়েছিল।কেন  বাংলার যেকোনও ভোটে   এই আমলাতান্ত্রিক রদবদল করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের অভিযোগ,  নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিকভাবে ‘ব্যবহার’ করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংসের প্রয়াস চালাচ্ছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার।  কমিশনের দপ্তর যেন বিজেপির পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে!এমন মন্তব্য করতে শোনা গেছে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদকে।তাই সুপ্রিমকোর্টের নজরদারিতে নির্বাচন করার দাবি রেখেছেন তিনি।ফলে ভোটের আগে আমলা বদল নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক যে পিছু ছাড়ছে না তা বলাই যায়।

Related Articles