শিল্পে মুখ্যমন্ত্রীর ‘পাখির চোখ’ পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কে বিনিয়োগ ৭২ হাজার কোটি টাকা
Purulia Industry Park

The Truth of Bengal: শিল্প হলে কর্মসংস্থান হবে। আর সেই শিল্পের জোয়ার আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে পরিচিত পুরুলিয়া জেলাকে তিনি পাখির চোখ করেছেন। গোটা পুরুলিয়া সেজে উঠছে শিল্প সম্ভাবনায়। বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিয়ে রঘুনাথপুরে গড়ে ওঠা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক দেখিয়ে দিচ্ছে শিল্পযজ্ঞে আগামী দিনে কী হতে চলেছে সেখানে। শুধু রঘুনাথপুর নয়, গোটা পুরুলিয়া জেলায় বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠছে এরকমই নানা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক৷ সেগুলি হল জয়পুর এক নম্বর ব্লকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কাশীপুর ব্লক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রভৃতি।
তবে নজর কাড়ছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক। রাজ্যের শিল্প মানচিত্রের চাকা ঘুরতে পারে এই ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কের হাত ধরে। রঘুনাথপুরে বিনিয়োগ হবে ৭২ হাজার কোটি টাকা। পুরুলিয়ায় গড়া হচ্ছে আরও ৩টি শিল্প-ক্লাস্টার। আগামী দিনে পুরুলিয়া অন্য জেলাকে চাকরি দেবে। একসময় পিছিয়ে পড়া পুরুলিয়া জেলা নিয়ে এমনই সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রুখাসুখা পুরুলিয়ার জমিতে শিল্পের যে জোয়ার আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী, তার কর্মযজ্ঞ চলছে জোর কদমে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়া সফর থেকে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পের দুয়ার খুলে দেন। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ৪,৫০০ কোটি টাকার ইস্পাত কারখানার উদ্বোধন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। এই বৃহৎ কারখানার হাত ধরে বদলে যাবে পুরুলিয়ার শিল্প মানচিত্রের ছবি। ওই ইস্পাত কারখানা পুরোদমে চালু হয়ে গেলে ৮০০০ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই পুরুলিয়ার বাসিন্দা। সেই তালিকায় আছেন জমিদাতাদের পরিবারের সদস্যরাও।
মুখ্যমন্ত্রী শ্যাম স্টিলের যে ইস্পাত কারখানার উদ্বোধন করেছেন, তা রঘুনাথপুরের জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীতে বা রঘুনাথপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গড়ে উঠেছে। এই পার্কের ৬০০ একর জমিতে কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের এপ্রিলে। তখন ১,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে শ্যাম স্টিল। ওই কারখানা যখন পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে বছরে ১১.৯ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হবে। হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান। আগামীদিনে এই রঘুনাথপুর ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কে গড়ে উঠতে চলেছে আরও অনেক বৃহৎ শিল্প। ‘শিল্পবন্ধ্যা’ তকমা পাওয়া বাংলায় এবার আসছে শিল্পের জোয়ার।