রাজ্যের খবর

মিলছে বাড়ি তৈরির টাকা, রাজ্য সরকারের ভূমিকায় খুশি চা শ্রমিকরা

The tea workers are happy with the role of the state government in getting money for building houses

The Truth of Bengal: আগের লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রের শাসক দল। উত্তরের চা বলয়ের সব সমস্যা মিটে যাবে তাদের ভোট দিলে। দিল্লি থেকে বারবার উড়ে এসে মানুষকে এমন প্রতিশ্রুতি বিলিয়েছিলেন দিল্লির নেতারা। ভোট শেষ হতেই আর দেখা মেলেনি তাদের। রক্ষা করা হয়নি কোনও প্রতিশ্রুতি। যা নিয়ে চা শ্রমিকদের মধ্যে এখন ক্ষোভ তুঙ্গে। তবে কোনও ফাঁপা প্রতিশ্রুতি নয়, উত্তরের চা বলয়ের শ্রমিকদের জন্য সত্যিই কাজ করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই চা শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে।

চা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। তবে শুধু জমির পাট্টা বিলি নয়, সেই জমিতে যাতে শ্রমিকরা বাড়ি বানাতে পারেন তার জন্য দেওয়া হচ্ছে টাকা। এবার ঘর তৈরির টাকাও ঢুকতে শুরু করেছে শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। খুশির জোয়ার চা শ্রমিক মহল্লায়। উত্তরের চা বলয়ের শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল জমির পাট্টা প্রদান। জমি তো মিলেছে, এবার আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের বন্ধ কালচিনি ও রায়মাটাং চা বাগানে ঘর তৈরির প্ৰথম কিস্তি টাকা ঢুকতেই উচ্ছ্বসিত শ্রমিকরা। দুটি বাগানের প্রায় ৫০০ বেশি শ্রমিকদের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন।

আগের লোকসভা নির্বাচনের আগে চা শ্রমিকদের মন পেতে কল্পতরু হয়েছিলেন কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা। তবে সেটা যে স্রেফ কথার কথা ছিল তা এখন প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। চা বাগানের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সেই অর্থে কিছুই করতে দেখা যায়নি কেন্দ্রের শাসক দলকে। উত্তরবঙ্গে ভোট না পেলেও সরে আসেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্ধ চা বাগান খোলার পাশাপাশি চা শ্রমিকদের রেশন দেওয়া থেকে জমির পাট্টা ও বাড়ি বানানোর টাকা দিচ্ছে রাজ্যের সরকার। বাড়ি বানানোর প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন চা শ্রমিকরা। সরকারের দেওয়া জমিতে বাড়ি তৈরির টাকা পেয়ে খুশি চা শ্রমিকরা।

Related Articles