নিয়ম না মেনেই ত্রিপুরার হাতি পাচার হচ্ছে গুজরাটে
Tripura elephants are being trafficked in Gujarat without following the rules

The Truth of Bengal: গুজরাটে আকর্ষণ বাড়াতে ফের বিতর্কে আম্বানিদের এনজিও। বিজেপি শাষিত গুজরাটে দফায় দফায় ঢুকছে হাতি। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, আম্বানিদের বেনামি এনজিও-র মাধ্যমে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের উদ্যোগে সড়কপথে অতি সম্প্রতি ১২টি হাতি পাঠানো হয়েছে। ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে হাতিগুলো ১৮ ফেব্রুয়ারি অসমের পাথারকান্দিতে পৌঁছলে অসম বন দপ্তরের কর্মীদের মাধ্যমেই বিষয়টি সামনে আসে। আর এই কাণ্ডে রাধেকৃষ্ণ মন্দির হস্তি কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি এনজিওর- নাম উঠে এসেছে। জানা গেছে আম্বানি গোষ্ঠীই এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
উল্লেখ্য, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বন্যপ্রাণী পরিবহণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন হয়। শুধু তা-ই নয়, এই অনুমোদন দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গঠন করা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির সুপারিশ অনুসারে। কিন্তু এক্ষেত্রে আদৌও কোনও নিয়ম মানা হয়নি। উল্লেখ্য, গুজরাটের জামনগরের অভয়ারন্যের জন্য ১২টি হাতি দিন কয়েক আগে পাঠানো হয়। তবে বনদপ্তর সূত্রে খবর জামনগরে পৌঁছতে দিন পনেরো সময় লাগে । সেক্ষেত্রে এখনও রাস্তায় রয়েছে হাতিগুলি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ।
আইনে বলা হয়েছে আর পোষা হাতি দিয়ে কাঠের লগ টানা বা অন্য কোনও অতিরিক্ত শ্রম করানো যায় না। এছাড়াও শোভাযাত্রায় বা পর্যটনের প্রয়োজনে হাতি ব্যবহারেও জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। এমনকি হাতির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার, বাসস্থান, পরিচর্যা ইত্যাদিরও নিয়ম হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে হাতির মালিকরা সস্তায় হাতি বিক্রি করে দিচ্ছে এনজিওর কাছে যা নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে বনদপ্তর। পাশাপাশি ত্রিপুরার বনদপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে গুজরাটে কেন মূল্যবান সম্পদ পাচার করা হবে? ত্রিপুরাতেও তো অভয়ারন্য তৈরি করা যেতে পারে বলে প্রশ্ন তুলেছে বনদপ্তর। তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের পশুগণনা অনুযায়ী, রাজ্যে মোট পোষা হাতির সংখ্যা ছিল ৭৪। এ পর্যন্ত ২৩ টি হাতি গুজরাটে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। সবমিলিয়ে হাতিপাচারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বনদপ্তর।