বাংলাদেশ সীমান্তে উরুস উৎসব, দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে এই উৎসব
Urus festival on Bangladesh border

The Truth of Bengal: ভৌগলিক সীমানা,কাঁটাতারের বেড়া। এসব অনেক সময়ই ম্লান হয়ে যায় আবেগের কাছে, সংস্কৃতির শিকড়ের কাছে।এপার বাংলা –ওপার বাংলার মেলবন্ধনে বড় ভূমিকা পালন করে উরুস উৎসব। অন্যান্য বছরের মতোই এবারও ধর্মপ্রাণ মানুষ সংস্কৃতির সমন্বয়ে এগিয়ে আসেন।কথিত আছে, আব্দুল রশিদ নামে একজন মুসলীম ধর্মগুরুর বাড়ি ছিল বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপ জেলার সালবাহান হাট এলাকায়। বহু বছর আগে তিনি এপারে অর্থাৎ ভারতে ফুলবাড়ি সংলগ্ন সন্যাসীকাটায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে পরলোক গমন করেন। তখনও বাংলা ভাগ হয়নি।
যেহেতু তখন সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ছিল না তাই দুই দেশের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে একটি জায়গায় তাকে সমাধিস্থ করা হয়। এমন গল্পও রয়েছে যিনি তাঁর কবরের মাটি কেটেছিলেন তার জন্যও রুপোর টাকা রাখা ছিল। সেই মৃত্যুর সময়কাল থেকে দুই দেশের মানুষ প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের বিশেষ দিনে যৌথভাবে উরুস উৎসব পালন করে থাকে। আব্দুল রশিদ নামে এক মুসলিম ধর্মগুরুর বাড়ি ছিল বাংলাদেশে। অনেক বছর আগে তিনি এপারে সন্ন্যাসীকাটায় আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসে মারা যান।তার ইচ্ছা অনুযায়ী দুই দেশের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে সমাধিস্থ করা হয়।সেসময় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ছিল না।
সেই সময় থেকেই প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের বিশেষ দিনে যৌথভাবে উরুস উৎসব পালন করা শুরু হয়।এখনও উরুস উত্সব দুই বাংলার মানুষকে যেভাবে একছাতার তলায় নিয়ে আসে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।আবেগ,ভালোবাসা,বাঙালিয়ানার শিকড় আঁকড়ে থাকার বাসনা এই মিলন উত্সবকে আলাদা মাহাত্ম্য দিয়েছে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর অনুমতি নিয়ে প্রতিবছর এই মিলন উত্সব পালন করা হয়।এ বছর আব্দুল রশিদের ৩৫ তম উরুস উৎসব উপলক্ষে বিএসএফের পক্ষ থেকে সীমান্তের গেট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়।জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর মানুষ এই উৎসবে যোগ দেন।তবে পরিচয়পত্র দেখিয়েই বেড়ার ওপারে যেতে দেওয়া হয়।