দেশরাজনীতি

আয়কর অপরিবর্তিত, স্বস্তি নেই বেকারদের, নির্বাচনের আগে শেষ বাজেটে হতাশ মধ্যবিত্তরা,

Last Budget Before Elections

The Truth Of Bengal :২০২৯-র অন্তবর্তী বাজেটে করছাড়ের কথা ঘোষণা করা হলেও এবারের অর্ন্তবর্তী বাজেটে কোনওরকম স্বস্তি দেওয়া হল না।তাতে মধ্যবিত্তদের আশাভঙ্গ হল।মহিলা ও কৃষকদের মনজয়ে সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও  উপহারের কথা পরিস্কার করেননি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।বিরোধীরা এই ভোট অন অ্যাকাউন্টকে গিমিক বলে কটাক্ষ করেছে।অর্থনীতিবিদদের একাংশ এই অর্ন্তবর্তী বাজেটকে দিশাহীন বলেই মনে করছেন।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন।হাতে সময় কম।বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় রামনাম।আর অর্ন্তবর্তী বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মুখে নারীশক্তির বিকাশ বা মহিলা কল্যাণের কথা শোনা গেল।  বলা যায়, ভোটের আগে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে পারেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ।তাই অর্ন্তবর্তী বাজেট পেশ করতে হয়েছে তাঁকে। সেজন্য মধ্যবিত্ত বা যুবসমাজের জন্য বড় উপহার দিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন সীতারামণ।তবুও ভোটের দিকে তাকিয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে ছাড়েননি বলে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।নির্মলার ভোট অন আক্যাউন্টের তথ্যে উঠে এসেছে,নারীর ক্ষমতায়ন থেকে কৃষকের কল্যাণের কথা।অর্থমন্ত্রী দাবি করেন,মহিলাদের মুদ্রা যোজনা ঋণ প্রকল্পে ১৩কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।একইসঙ্গে দশবছরে উচ্চশিক্ষায় মহিলাদের অংশগ্রহণের হার বেড়ে ২৮শতাংশ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।উনিশের লোকসভা ভোটের আগে অর্থমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে দেদার উন্নয়নের ছবি তুলে ধরতে কসুর করেননি।

গরিব, যুব, মহিলা এবং চাষিদের উন্নয়ন জোর দেওয়া হয়েছে বলে ফোকাস করেন নির্মলা।তাঁর কথায়,পিএম মুদ্রা যোজনায় ৪৩ কোটি টাকার ঋণ প্রদান।স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, স্টার্টআপ স্কিলের মাধ্যমে সাহায্য বাড়ানো হয়েছে।পিএম স্কিলের অধীনে ১.৪ কোটি পড়ুয়াকে প্রশিক্ষণ দান থেকে দেশে  ৩৯০টি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ বা ১১.৪ কোটি কৃষকের আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং   পিএম ফসল বিমা পেয়েছেন ৪ কোটি কৃষককে সুরক্ষিত করার কথাও ভোটের মুখে অর্ন্তবর্তী বাজেটে তুলে ধরেন তিনি।তবে উনিশের ভোটের আগে অর্ন্তবর্তী বাজেটে আয়করে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও এবারের ভোট অন অ্যাকাউন্টে কোনও মধ্যবিত্তদের মনখুশি করার বার্তা দেওয়া হয়নি।

অর্ন্তবর্তী   বাজেটে ‘পূর্বাঞ্চল এর বিকাশের কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এক্ষেত্রে রাজনীতির ছায়া দেখছে অর্থনীতিবিদদের একাংশ।তাঁদের মতে, ৪০০আসনে বিজেপির জয়  নিশ্চিত  করতে এই অঞ্চলকেই ‘পাখির চোখ’ করেছেন মোদী-অমিত শাহরা। কারণ, গত লোকসভা ভোটে উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারতে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিলেন তাঁরা। ওই রাজ্যগুলিতে আসন বৃদ্ধির তেমন সুযোগ নেই।তাই অর্থমন্ত্রী ভোটের আগে পূর্ব ভারতের উন্নয়নের স্বপ্ন ফেরি করলেন বলে কটাক্ষ অনেকের।

সাধারণ মানুষের কল্যাণে সেভাবে কোনও দিশা নেই।কিভাবে যুবকদের রোজগার বাড়বে বা আয়বৃদ্ধি পাবে তাও এই অর্ন্তবর্তী বাজেটে তুলে ধরা হয়নি বলে বিরোধীরা সালোচনা করছেন।তাঁদের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি-মু্দ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ না করা এবং বেকারদের চাকরির সংস্থানে সঠিক শিল্পনীতি না গ্রহণ করার মতো বিষয়।

Related Articles