
The Truth of Bengal: লোকসভা নির্বাচন আর কয়েক মাস পরেই। জোড়দার প্রস্তুতি শাসক এবং বিরোধী শিবিরে। একদিকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিও, অন্যদিকে ২৮ দলের ইন্ডিয়া জোট। বিজেপিকে পরাস্ত করতে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি ‘সিট শেয়ারিং’ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। মহারাষ্ট্র থেকে পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড থেকে তামিলনাড়ু সর্বত্রই শুরু হয়েছে প্রক্রিয়া। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে প্রথম থেকেই সিট শেয়ারিং-এর উপর জোড় দেন। অনেক রাজ্যেই ইন্ডিয়া জোটের দলগুলির মধ্যে সেই প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। তবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সিট শেয়ারিং নিয়ে শুরু হয়েছে জটিল পরিস্থিতি। যেমন- কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয়, দিল্লি। আমআদমি পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে, আসন বোঝাপড়ার আলোচনা দিল্লিতে সেভাবে শুরু হয়নি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, দিল্লিতে আপ ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন বোঝাপড়া না হলে ইন্ডিয়া জোট মুখ থুবড়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে, বিজেপি লাভবান হবে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গেও কংগ্রেস ও তৃণমূের মধ্যে আসন বোঝাপড়া নিয়ে আওয়াজ পাল্টা আওয়াজ চলছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অদীনরঞ্জন চৌধুরী প্রথম থেকেই বলে দিয়েছেন তারা তৃণমূলের দয়া দাক্ষিণ্য চাই না। তারা তৃণমূলের কাছ থেকে দুটো আসনের ভিক্ষা চায় না। পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের প্রবীন সাংসদ সৌগত রায়। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে বহরমপুর ও মালদবহ দক্ষিণ এই আসন দুটি কংঘ্রসকে ছেড়ে দিতে রাজি।
সোনিয়া গান্ধী সরাসরি কথা বললে আরও একটি আসন দিতে তৈরি তৃণমূল। অবশ্য কংগ্রেসের কাছ থেকে অসম ও মেঘালয়ে আসন চায় তৃণমূল। অসমে তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে। মেঘালয়ে তৃণমূলের বেশ কয়েকটি বিধায়ক রয়েছে। মেঘালয়ে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ কংগ্রেসের থেকে বেশি। তৃণমূল তাই অসমে দুটি ও মেঘালয়ে একটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে এই বোঝাপড়ার চূড়ান্ত রূপ পায় কিনা। তৃণমূলের বক্তব্য বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে ইন্ডিয়া জোটকে। সেক্ষেত্রে কোনো না কোনো দলকে আত্মত্যাগ করতেই হবে।