
The Truth of Bengal: পাহাড় প্রেমী নয় এমন মানুষের সংখ্যা সত্যিই কম। আর তাই আজ আপনাদের এমন এক জায়াগায় নিয়ে যাব যেখানে গেলে আপনার বাড়ি ফিরতেই যেন মন চাইবে না। আজ আপনাদের নিয়ে যাব মেচুকাতে। অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত এই অফবিট ট্যুরিস্ট স্পট। আসামের ডিব্রুগড় থেকে ব্রহ্মপুত্রের উপরে বোগীবিল সেতু পেরিয়ে অরুনাচল প্রদেশে পাশিঘাটে প্রবেশ করে ইনারলাইন পারমিট সংগ্রহ করে উত্তর পশ্চিমে আলো হয়ে ২৮৪ কিমি দূরে সিওমি জেলায় অবস্থিত ভারত চীন বর্ডার বা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ২৯ কিমি আগে সাদা বরফের বেষ্টিত সিয়াম নদীর তীরে মেচুকা ভ্যালিতে যাওয়া যায়।
যদিও জায়গাটির নাম শুনে অদ্ভুত লাগলেও, নামের অর্থ শুনে আপনার মন কাড়বেই। মেন কথার অর্থ ঔষধি, চু মানে জল বা নদী আর কা-এর অর্থ বরফ অর্থাৎ ওষুধি বরফ জল বা নদী নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মেচুকার। অপরদিকে, অফবিট এই ট্যুরিস্ট স্পটে পর্যটকদের যাতায়াতও দিনদিন বাড়ছে। পাশাপাশি, পর্যটন ব্যবসা উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে একাধিক হোটেল-হোমস্টে তৈরি হওয়ার ফলে। অপরদিকে, প্রকৃতির কোলে গেলে দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি থেকেও আপনি নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।
আলো থেকে সিয়াম নদীক বামপাশে রেখে জঙ্গলের মাঝে রাস্তা চলে গেছে। পথে সিকো ডিডো ফলস্, প্রচুর পাইন, বাঁশ, বুনো কলাগাছ, বুনো গরু বা মিথুন দেখতে পাওয়া যায়।প্রসঙ্গত, মেচুকাতে গেলে আপনি নিকটবর্তী একাধিক পর্যটন স্থানেও ঢুঁ মেরে আসতে পারবেন যেমন দোরজিলিং গ্রাম, সলমন খান পয়েন্ট ইত্যাদি। এছাড়াও, ১৫ কিমি দূরে পাহাড়ের মাথায় ৪০০ বছরের পুরনো সন্তেন ইঙ্গচা মনাস্টারিও আছে। আর সব মিলিয়ে, মেচুকা যে আপনার মন কাড়তে চলেছে তা বলাবাহুল্য।