
The Truth of Bengal: শিলাবতী নদী থেকে বালি তুলে পাচার করছে পাচারকারীরা। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে। শাসক দলের মদত আছে বলে দাবি বিজেপির। শাসক দলের দাবি, ঘাটালে কোথাও বালি খাদান নেই। কেউ যদি বেআইনিভাবে বালি তোলে তা হলে বিষয়টি দেখবে প্রশাসন। মাফিয়ারা বালি তুললেও অনর্থক তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দেয় বিজেপি। বালি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। প্রাশাসনিক সক্রিয়তায় অনেক জায়গায় বন্ধ হয়েছে বালি পাচার। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় লুকিয়ে পাচার চালাচ্ছে মাফিয়ারা। প্রায় প্রতিদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলাবতী নদী থেকে দেদার চুরি হচ্ছে বালি। মাঝ নদী থেকে বালি নৌকা করে বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছে মাফিয়ারা।
দিনদিন দৌরাত্ম্য বাড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোর থেকে শুরু হয় বালি তোলার কাজ। নৌকোয় করে নদী থেকে বালি তুলে তা জমা করা হয় পারে। সেখানে থেকে সেই বালি পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য জায়গায়। ন্দীপাড় এলাকায় যখন লোকজনের উপস্থিতি কম থাকে তখন, বেশি সক্রিয় থাকে বালি মাফিয়ারা। বেলা বাড়লে তারা গা ঢাকা দেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হলেও খুব একটা নজরদারি চালানো হয় না। ফলে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। নদী থেকে এই বালি তোলা নিয়ে ইতিমধ্যে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়েছে।
ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের দাবি, শাসক দলের কদতে বালি চুরি হচ্ছে নদী থেকে। বিজেপির এই অভিযোগ সম্পর্কে ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাজির বক্তব্য, ঘাটালে কোথাও বালি খাদান নেই। কেউ যদি বেআইনিভাবে বালি তোলে তা হলে বিষয়টি দেখবে প্রশাসন। মাফিয়ারা বালি তুললেও অনর্থক তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দেয় বিজেপি। বালি পাচারের এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে। তাদের দাবি, অবিলম্বে বন্ধ হোক এই বালি পাচার। প্রশাসনিক আধিকারিক ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও বালি পাচারের এই ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন।