
The Truth of Bengal: দিঘা মন্দারমনির মত ঘিঞ্জি সমুদ্র সৈকতে না গিয়ে এবার বরং ঘুরে আসুন খেজুরির সমুদ্র সৈকত থেকে। সামনেই বড় দিন, শীতে এই সময় পেয়ে যাবেন দিন কয়েক ছুটি । আর ছুটিতেই পরিবার বা বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে ঘুরে আসুন খেজুরির সমুদ্র সৈকতে। ভারতের প্রথম ডাকঘর বলতে মনে পড়ে খুজেরির কথা। রাজা রামমোহন রায় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি জরানো এই স্থান একবার ঘুরলে আপনার মন চাইবে বারবার ফিরে যেতে।
মন চাইলে খেজুরিতে আপনি হুগলী নদীর মোহনার পাশে বসে কিছুটা একাকী সময়ও কাটাতে পারবেন। নদীর মোহনায় পড়ে থাকতে দেখবেন বালিরাশি। যা অবশ্যই আপনার মন ভোলাবে। এছাড়াও আপনি দেখতে পাবেন প্রাচীন ডাকঘরের ধ্বংসাবশেষ। খেজুরি বন্দরের পাশেই রয়েছে এই ডাকঘরের ধ্বংসাবশেষ। ইতিহাস খুঁজলে দেখতে পাবেন ১৮৩০ সালে রাজা রামমোহন রায় এই ডাকঘরে রাত্রি যাপন করেছিলেন।
কেবল তাই নয় দেখতে পাবেন অতি প্রাচীন লাইট হাউসও। এখানে আসলে দর্শন করতে পারবেন কপালকুণ্ডলা মন্দির। খেজুরির সমুদ্র সৈকতে গেলে আপনি দেখতে পাবেন নানা ধরনের পরিযায়ী পাখি। শীতকালে গেলেই বেশি পাখি দেখা যাবে এই সমুদ্র সৈকতে। ভাবছেন তো কিভাবে যাবেন? কলকাতা থেকে খেজুরির দূরত্ব ১৩০ কিমি। আপনি চাইলে সড়ক পথ অথবা রেল পথেও পৌঁছে যেতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই খেজুরিতে।