অফবিট

অবশেষে বিশেষ স্বীকৃতি পেল নীলকন্ঠ

Nilakantha Bird

The Truth of Bengal,Mou Basu: বিজয়া শেষে মর্ত্য ছেড়ে উমার কৈলাশে ফিরে যাওয়ার বার্তা দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে পৌঁছে দেয় নীলকন্ঠ পাখি। ছোট্ট এই পাখির সঙ্গে বাঙালির অনেক আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। অবশেষে স্বীকৃতি পেল নীলকন্ঠ পাখি। নীলকন্ঠ পাখির ইংরেজি নাম হল “Indochinese Roller”। এতদিন indian roller (বৈজ্ঞানিক নাম: Coracias benghalensis) পাখির Sub species হিসাবে পরিচিত হত নীলকন্ঠ পাখি। আলাদা করে প্রজাতির কোনো অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু এবার আলাদা পাখির প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেল নীলকন্ঠ পাখি।

উত্তর পূর্ব ভারত ও উত্তরবঙ্গের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে দেখা পাওয়া যায় নীলকন্ঠ পাখি। সেখানেই সমীক্ষা চালায় পাখির সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা দেশের প্রথমসারির সংগঠন Bombay Natural History Society (BNHS)। ২০২২ সালে শচীন রানাডে, জয় গোরে ও সোনালী রানাতে নামে ৩ বিজ্ঞানী সমীক্ষা চালান। তাঁদের গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘Threatened Taxa’।

বাঙালির অতি পরিচিত নীলকন্ঠ পাখিকে ‘কৃষকদের বন্ধু’ বলা হয়। কারণ, ফসল তোলার মরসুমে জঙ্গল ছেড়ে কৃষিজমির আশপাশে বাসা বাঁধে এই পাখি। ফসলের ক্ষতি করা পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের সাহায্য করে। নীলকন্ঠ পাখির ঠোঁট ও বুকের কাছে হালকা ব্রাউন রঙের সঙ্গে নীলচে বেগুনি আভা দেখা যায়। জনবসতি এলাকায় নয় ফাঁকা কৃষি জমি ও জঙ্গলে নির্জনে বাস করে এই পাখি। দ্রুত উড়তে পারে। বাংলা বা ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা মেলে নীলকন্ঠ পাখির।