রাজনীতি
Trending

একদিকে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা অন্যদিক শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি? বিতর্কের পর বিতর্কে বিজেপি…

BJP MLAs Have Been Accused of Disrespecting The National Anthem.

The Truth Of Bengal: বিধানসভা চত্বরে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগের মাঝেই বিজেপির আম্বেদকর মূর্তির সামনে শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি ঘিরে বিতর্ক।তৃণমূলের আদিবাসী বিধায়করা জানান,তাঁদের অবস্থানের পরই শুদ্ধিকরণ করে বিজেপি,তাতে আদিবাসীদের অচ্ছুত বলা হচ্ছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিস্কার জানিয়ে দেন, আগাম অনুমতি ছাড়া বিধানসভা চত্বরে কোনওরকম রাজনৈতিক কার্যকলাপ করা যাবে না।  সেইমতো মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীরা বিধানসভার বাইরেও নজরদারি বাড়িয়েছেন। বিজেপি বিধায়করা  আদিবাসী  অমর্যদা করেছেন বলে পাল্টা সোচ্চার হয়েছেন  বীরবাঁহা হাঁসদা থেকে জ্যোৎস্না মাণ্ডি প্রত্যেকেই।আদিবাসী বিধায়কদের অমর্যাদার জন্য শনিবার কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিতর্কের পর বিতর্ক। বিধানসভার ভিতরের মতোই বাইরেও শাসক-বিরোধী চাপানউতোর চরমে।তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচির মাঝে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করা গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগও দায়ের হয়েছে হেয়ারস্ট্রিট থানায়।এবার সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল বিরোধীদের শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি।শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের দেখা যায়, আম্বেদকর মূর্তির সামনে গিয়ে গঙ্গাজল দিয়ে ধুতে। গেরুয়া বিধায়করা বলেন,তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচির জেরে শুদ্ধতা নষ্ট হয়েছে। তাই শুদ্ধিকরণের জন্য আম্বেদকরের পা ধুয়ে দেন বিজেপি বিধায়করা।

তিনদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা বিধানসভায় আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধরনা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ধরনা কর্মসূচি নেয় শাসক দল। সেখানেই শুক্রবার সকালে গঙ্গা জল নিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। মাথায় গামছা, কলসী দিয়ে ধরনা স্থানে এসে হাজির হন তাঁরা। এরপর গঙ্গা জল দিয়ে আম্বেদকরের মূর্তি ধুইয়ে দেন তাঁরা। কার্যত, বিধানসভার ইতিহাসে এরকম ঘটনা ‘নজিরবিহীন’ বলেই মনে করছেন অনেকে। স্পিকারের অনুমতি ছাড়াই বুধবার যেভাবে  বিজেপি বিধায়করা বাংলার বকেয়া ইস্যুতে অবস্থানকারী তৃণমূল বিধায়কদের বাধা দেন এবং শুক্রবার বিধানসভা চত্বরে অনুমতি না নিয়ে  কর্মসূচি পালন করেন, তাতে ক্ষুব্ধ হন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ পরিস্কার জানিয়ে দেন, আগাম অনুমতি ছাড়া কোনও দলই বিধানসভা চত্বরে   রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে পারবে না।

অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো মার্শাল বিধানসভা চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ান।মহিলা রক্ষীরা বিধানসভা এলাকায় নজর বাড়ায়।বিজেপির বিরুদ্ধে যে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিতও দেন নিরাপত্তা র ক্ষীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের  স্পষ্ট অভিযোগ, বিজেপি রাজনৈতিকভাবে আদিবাসীদের সম্মান দেয় না। তাই বিধানসভা চত্বরে তফশিলী জাতি-উপজাতির মানুষদের অচ্যুত বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।অস্পৃশ্যতা রাজনীতির জনক বিজেপি উত্তরপ্রদেশ,মধ্যপ্রদেশের মতোই বাংলাতেই আদিবাসী বিধায়কদের অসম্মান করার নজির তৈরি করছে।

সংবিধান প্রণেতা বিআর আম্বেদকরকে সম্মান দেয় না বিজেপি,সম্মান দেয় না আদিবাসী সমাজকে।সেই কারণে গেরুয়া নাটক বলে বীরবাঁহা হাঁসদা ও জোত্স্না মাণ্ডীরা অভিযোগ করেন।আদিবাসীদের অস্পৃশ্য বলার এই জবাব বাংলার মানুষ দেবে বলেও তৃণমূল বিধায়কও মন্ত্রীরা স্পষ্ট করে দেন।

আদিবাসী বিধায়কদের অপমান করার প্রতিবাদে,শনিবার জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।লাগাতার আন্দোলনের মাধ্যমে বিরোধীদের মুখোশ খুলে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়করা।

Free Access

Related Articles