কৃষকদের ঠকিয়ে দিব্যি মোটা টাকা লুট, বাজেয়াপ্ত ১৫৫ বস্তা ধান
BDO confiscated paddy worth 1 lakh 69 thousand

The Truth of Bengal: মধ্যসত্বভোগী ও দালালরাজের দাপট কমাতে প্রশাসনের চেষ্টার কোনও খামতি নেই। কৃষকের কষ্টের জীবনে হাসির পরশ দিতে রাজ্য সরকার,সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। তবুও কায়েমী চক্র কালো ধান্দার মাধ্যমে ফায়দা তুলতে ফন্দি এঁটে চলেছে। অভিযান চালিয়ে পুলিশ সেই দুষ্ট কারবারীদের ধরছে। আইনের কাঠগড়ায় তুলে বিচার করার চেষ্টা করছে। বিরোধীরা সমালোচনা করলেও সরকার কর্তব্যে অবিচল বলে দাবি প্রশাসনের কর্তাদের। যারজন্য গণবন্টনের মতোই ধান কেনাবেচায় ছোটখাটো অস্বচ্ছতার ছায়া দূর হচ্ছে।
স্বরূপনগরের সমবায় কেন্দ্রে লাভের গুড় খেয়ে নিচ্ছিল দালালরা
কৃষকদের ঠকিয়ে দিব্যি মোটা টাকা মুনাফা করে ফড়েরা
ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা হাতিয়ে নেয় মধ্যসত্বভোগীরা
অভিযান চালিয়ে দালালদের ১৫৫ বস্তা ধান বাজেয়াপ্ত
১লক্ষ ৬৯হাজার টাকার ধান বাজেয়াপ্ত করলেন বিডিও
সরকারি সমবায় কেন্দ্রে এই ধরণের ঘটনা মোটেই বরদাস্ত করা হবে না। রাফ অ্যান্ড টাফ পলিসি নিয়ে ফড়েরাজ হঠানোর কথাও স্পষ্ট করেছেন বিডিও। বাজেয়াপ্ত ধান বিডিও অফিসে মজুত করা হয়েছে। যে ভুয়ো নামের তালিকা পাওয়া গেছে তানিয়ে তদন্ত শুরু করেছে স্বরুপনগর থানার পুলিশ ও বিডিও। বিস্তারিত জেলা প্রশাসনকে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেয়ার জন্য নামের তালিকা নথিভুক্ত করছে বিডিওসহ আধিকারিকরা। প্রশাসনিক স্তরে তদন্ত শুরু হয়েছে। কৃষকরা বেআইনি কারবার বন্ধের দাবি তোলার পাশাপাশি সরকারি নজরদারির প্রশংসাও করছেন। অন্নদাতারা ধানের দর নিয়ে ফড়েদের দাদাগিরি মানতে চায় না। প্রশাসন কর মকুব করার পাশাপাশি কৃষকের নায্যমূল্যে ফসল বিক্রি নিশ্চিত করায় তারা বেশ স্বস্তি পাচ্ছে। দুর্যোগ দুর্ভোগ কাটাতে বাংলা শস্যবীমার মতোই এই ফসলের সঠিক মূল্য প্রদান তাঁদের আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে সাহায্য করছে বলে কৃষকরা মনে করছেন।
Free Access