মহাকাশ গবেষণায় রোবট শাপ, অনুসন্ধান চালাবে চাঁদ ও মঙ্গলে
Space exploration robot snake, will explore the Moon and Mars

The Truth Of Bengal : সাপ এবার থেকে অনুসন্ধান চালাবে চাঁদ ও মঙ্গলে। শুনে চিন্তা পড়ে গেলেন? ভাবছেন তা কিভাবে সম্ভব। সম্ভব তবে এই সাপ কোনও সাধারন সাপ নয়। এটি একটি রোবট সাপ। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তৈরি করে ফেলেছে সাপের আদলে এই রোবটটি। রোবটটির নির্মাতা একজন ভারতীয় যিনি নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে কর্মরত। রোবটটির নাম রাখা হয়েছে এক্সোবায়োলজি এক্সট্যান্ট লাইফ সার্ভেয়ার বা ইইএলএস। এটির নকশা নির্মান কারির নাম রোহান ঠাকুর। তিনি ভারতের নাগপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেছেন। রোহান ঠাকুর এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইইএলএস রোবটের নকশা করার পেছনে তাঁর মাথায় ভারতীয় অজগরের দেহকাঠামো অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
রোহান ঠাকুর বলেন, রোবটটি চাঁদ ও মঙ্গলের উন্মুক্ত এলাকায় চলার জন্য বানানো হয়েছে। এটি রুক্ষ ও ফাটা মাটি, গুহা, এমনকি জলের নিচেও চলতে পারবে। তিনি জানান, কৃত্রিম মঙ্গল গ্রহ ও হিমবাহে চালানো পরীক্ষায় এটির ফলাফল নিতিবাচক। এটি দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে গবেষণার পাশাপাশি উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা যাবে। রোবট প্রযুক্তির দিন দিন উন্নতি হচ্ছে৷ ফলে রোবট এখন এমন সব কাজ করতে পারছে আগে যেটা সম্ভব ছিল না৷ তাহলে কি ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে যখন মানুষের আর কাজ করার কিছু বাকি থাকবে না?‘ইদানিং একটা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, রোবট হালকা উপাদান নিয়ে কাজ করছে৷ আগে রোবটিক্সে যে সমস্যা ছিল সেটা হচ্ছে, রোবটকে দিয়ে কিছু ধরাতে হলে আগে আপনাকে জিনিসটা দেখতে কেমন, সেই প্রোগ্রাম করতে হতো৷” নতুন প্রযুক্তির কারণে বিষয়টা আরও নিখুঁত হয়েছে৷সবজি ও ফল তোলার কাজে রোবটের ব্যবহার ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে৷
এখনও এ কাজে রোবট অনেক বেশি দক্ষ হয়ে উঠতে না পারলেও কিছু খামার রোবট ব্যবহার শুরু করেছে৷ কারণ শিল্পোন্নত দেশগুলোতে এসব কাজের জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাব রয়েছে৷রোবট আমাদের ছোটখাটো ও দৈহিক পরিশ্রমের কাজ থেকে মুক্তি দিতে পারে৷ এগুলো রোবটের কাজ৷আমরা ভবিষ্যতে এমন সব কাজে রোবটের ব্যবহার দেখতে পাব যেটা আগে সম্ভব ছিল না৷ শিগগিরই আমরা এমন রোবট পাব যেটা নিজেই নিজের পরিবেশ চিনতে পারবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারবে৷ ক্রমেই বিভিন্ন খাতে রোবটের ব্যবহার বাড়ছে৷ যেমন নির্মাণশিল্পে অনেক পরে রোবটের ব্যবহার শুরু হয়েছে৷ জাপানের আরেক আর্ট ‘অরিগ্যামি’ও রোবট প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়ক হচ্ছে৷ ফলে এমন রোবট তৈরি সম্ভব হচ্ছে যেটা ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের পর উদ্ধারকাজে পাঠানো যেতে পারে৷ এবার মাহাকাশেও রোবোর্ট পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
FREE ACCESS