
The Truth of Bengal: বিশ্বকাপে নেটে বল করে প্রশংসিত হয়েছেন বসিরহাটের ছেলে জিন্না মণ্ডল। জিন্নার বোলিংয়ে পাক ক্রিকেটার বাবর আজম মুগ্ধ হয়ে জার্সি উপহার দিয়েছেন। ক্রিকেট বিশ্বকাপের মাঠে নেট বোলিং-এ মাঠ কাঁপাচ্ছে বসিরহাটের বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের বেগমপুর-বিবিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবিপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে জিন্না মণ্ডল। বাবা পেশায় মৎস্যজীবী। অভাব-অনটনে সংসার চলে। অভাবী সংসারে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামে না আছেন ভাল কোচ না আছে ক্রিকেট কোচিং সেন্টার। টেনিস বলে ভাল খেলেই এলাকার এক ক্রিকেটপ্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না। তার খেলা দেখে বিনা পয়সায় কোচিং দিতে রাজি হন কোচরা।
এখন জিন্না সিএবি ক্রিকেট লিগে খেলছেন। বাড়ি থেকে স্টেশনের দূরত্ব পায় ১০ কিমি। ভোরে গোটা গ্রাম তখন সুনসান। সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বছর একুশের জিন্না। প্রথম ট্রেন ধরতে হয়। কলকাতা পৌঁছে অনুশীলন সেরে ফেরেন বাড়িতে। জিন্না এখন কলকাতা ময়দানের দ্বিতীয় ডিভিশনের সেন্ট্রাল ক্যালকাটা ক্লাবের হয়ে চলতি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের নেটে বল করার সুযোগ পান। নেটে বল করে চমকে দেন বাবর আজমদের। আনকোরা বোলারের সামনে পাক ব্যাটসম্যানরা সমস্যায় পড়েন। বোলিং মুগ্ধ করলেও বল করার টেকনিকে কিছু ত্রুটি ছিল জিন্নার। সেটা শুধরে দেন পাক কোচ মর্নি মর্কেল।
আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটারদের পরামর্শে উদ্বুদ্ধ জিন্না।নেট বোলার হিসেবে জিন্নার ইডেনে বোলিং করার অভিজ্ঞতা নতুন নয়। এর আগে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নেটেও বল করেছিলেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে ইডেনে নেটে বল করে প্রশংসিত হওয়ার পরে বাংলার সিনিয়র ক্রিকেট দলের প্র্যাকটিসেও নেট বোলার হিসেবে ডাক পেয়েছেন। সেখানেও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর বোলিং। লড়াইকে সঙ্গী করে এখন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার পালা। লক্ষ্য দেশের হয়ে খেলা। জিন্নার ২২ গজের লড়াই এখনও সেভাবে প্রচারের আলো পায়নি। তবে অদম্য জেদ প্রতিদিন তাঁতিয়ে তুলছে তাঁকে। দেশের জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্নে বুঁদ হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বসিরহাটের জিন্না।
Free Access