
The Truth of Bengal: মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে। এমনটাই জানিয়েছে মায়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন। পাশাপাশি ২৮ পুলিশ সদস্য অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছেন মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও ১০ সেনা। এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যটির স্বায়ত্তশাসন দাবি করে আসছে।
এদিকে রাজ্যটির রাজধানী সিত্তওয়েতে জারি রয়েছে কারফিউ। শহরের সামরিক ট্যাংক ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর মায়ানমারের জুন্টা এখন বেশ কঠিন সময় পার করছে। গত অক্টোবর সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠী বাহিনী গুলি একযোগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জুন্টা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কিছু শহর ও সামরিক পোস্ট দখল করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে।
জুন্টাদের একজন মুখপাত্র জ মিন তুন অভিযোগ করেছেন, পুরো দেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। জ মিন তুন আরও বলেন, রাখাইন, শান ও কায়াহ রাজ্যে লড়াই চলছে। তবে তিনি জুন্টা বাহিনীর আত্মসমর্পণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। ইতিমধ্যে চিন রাজ্যেও লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। সেখান থেকে মায়ানমারের ৪৩ জন সেনা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরামে গিয়ে ধরা পড়েছেন। জানাগিয়েছে ধরা পড়া মায়ানমারের বেশির ভাগ সৈন্যকে ভারতীয় বাহিনী মায়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে।