
The Truth of Bengal: আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে কেন্দ্রের যে সক্ষতা বাড়ছে, তা আবারও প্রমাণ হল। গৌতম আদানি গোষ্ঠীর অন্যতম সংস্থা আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের (এজিইএল) এক উপদেষ্টা ঠাঁই পেয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের একটি কমিটিতে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা। এজিইএল-এর অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা জনার্দন চৌধুরিকে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের একটি কমিটির ‘নন ইনস্টিটিউশনাল’-এর সাত সদস্যের মধ্যে একজন হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে পরিবেশ মন্ত্রকের পোর্টালে বৈঠকের আলোচ্যসূচি থেকেই প্রথম জানা গিয়েছে।
যদিও জনার্দন চৌধুরির দাবি, তিনি এজিইএল-এর উপদেষ্টা। সংস্থার বেতনভুক কর্মী নন।আর এই বৈঠকে তিনি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও এজিইএল-এর প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় তিনি অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। প্রসঙ্গত, এনএইচপিসি-তে ৩৬ বছর কর্মরত থাকার পর ২০২০-র মার্চে তিনি অবসর নেন। ২০২২-এর এপ্রিলে তিনি এজিইএল-এর উপদেষ্টা হন।
তবে যতই চৌধুরী নিজের সাফাই দিক না কেন, ‘স্বার্থের সংঘাত’ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক, রাজনৈতিক তরজাও।
কংগ্রেস, তৃণমূল সহ সকল বিরোধী দলের নেতৃত্ব কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে কড়া নিন্দা করেছেন। এমনকি মহুয়া মৈত্র, যাকে এথিক্স কমিটির পক্ষ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে, তিনিও এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরে জলবিদ্যুৎ এবং নদী উপত্যকা প্রকল্পের জন্য বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন কমিটি পুনর্গঠন করার সময় এই পদক্ষেপ করা হয়। গত ১৭-১৮ অক্টোবর কমিটির বৈঠকে মূল্যায়ন করা হয় এজিইএল-এর ১,৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তারালি পাম্পিং স্টোরেজ প্রকল্পটি। যেটি মহারাষ্ট্রের সাতারায় তৈরি হচ্ছে।
Free Access