রাজ্যের খবর

আজও রীতি মেনেই দুর্গাপুজো হয় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে

Durga Pujo 2023

The Truth of Bengal: দেশের সঙ্কটমোচনের মতোই  অর্থনীতি বা বিদেশ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ, সবেতেই তাঁর বুদ্ধির পরিচয় মেলে।ইন্দিরা মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী থেকে দেশের সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্ব,সবই সামলেছেন তিনি।কেউ কেউ তাঁকে রাজনীতির আধুনিক চাণক্য বলে উল্লেখ করেন।সেই দূরদর্শী নেতা দেশের নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও মাটির টান,শিকড়ের সংযোগ, কখনও এড়াতে পারেন নি প্রণব মুখোপাধ্যায়।প্রতিবছর সময় বের করে চলে আসতেন মিরিটিতে। অষ্টমীতে চণ্ডীপাঠ থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে মহামায়ার পুজোপাঠ সবই একাই সামলাতেন  তিনি।গাঁয়ের মানুষও গাঁয়ের ছেলে পল্টুকে প্রাণখোলা পুজো করতে দেখে আলাদা আবেগের ছোঁয়া পেতেন।এখন সেই পল্টুই নেই মিরিটির পুজোয়।২০২০-র ৩১অগাস্ট মাটির মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন তিনি।

এখন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়ই পুজো সামলান।তাঁর মনেও আক্ষেপ,বাবা থাকলে পুজোটা জমজমাট হত,এখন তাতে অনেকটাই ভাটা পড়েছে।ভিআইপি থেকে জনতার উপস্থিতি সেভাবে আর দেখা যায় না।১৮৯৬ সালে, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঠাকুরদা তারকনাথ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে মুখার্জী ভবনে দুর্গাপুজো শুরু হয়। একটা সময় নিজের কাঁধেই এই পুজো দায়িত্ব তুলে নেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।  বংশ পরম্পরায় উমা বন্দনা চলে আসছে। এবছর ১২৮ বছরে পা দিল এই পুজো।গ্রামের প্রিয় পল্টুদা সবশেষে এসেছিলেন উনিশে।তারপর আর আসা হয়নি তাঁর। পরম্পরা মেনে পুজোর চণ্ডীপাঠ এখন আর বংশের কেউ করেন না,করেন পুরোহিত।

সেখানেও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শূন্যতা অনুভব করেন বাড়ির সদস্যরা।শুধু বাড়ির পুজোয় উপস্থিত থাকাই তো নয়, পুজোয় নিজে চণ্ডীপাঠও করতেন প্রণব। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী কাটিয়ে তবেই ফিরতেন দিল্লি। যে ক’দিন থাকতেন, গ্রামের মানুষ, পরিবার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতেন, শুনতেন অভাব-অভিযোগ।পুজোয় খাওয়া-দাওয়া, আয়োজন, সবকিছুর উপরই নজর থাকত তাঁর।ফিরে গিয়ে আবার ফেরার অপেক্ষা শুরু হত।২০১৯ সালে শেষ বার বাড়ির পুজোয় যোগ দিতে বাড়ি এসেছিলেন প্রণব। সে বার সরাসরি বিমানে নয়, সড়ক পথে বিরাট কনভয় তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল বাড়িতে। কিন্তু গত তিনবছর সেই নিয়মে ব্যাতিক্রম ঘটেছে। তাই তাঁর বাড়ির দুর্গাপুজোতেও আনাগোনা কমেছে মানুষের।

Free Access

Related Articles