দেশ

সিকিমে বন্যায় এখনও নিখোঁজ ১৪০ জন 

Sikkim Floods

The Truth of Bengal: সিকিমের ভয়াবহ বন্যায় বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত সাত সেনা সহ ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। যার মধ্যে তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৯টি দেহ। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তর সিকিমে। বিপর্যস্ত জনজীবন। ছিঁড়েছে বিদ্যুতের তার, ভেঙেছে রাস্তা, সেতু। বানভাসী উত্তর সিকিমের সঙ্গে অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সরকারি তরফে খবর, ১ হাজার ১৭৩টি বাড়ি জলের তোরে ভেসে গিয়েছে। ২৪১৩ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো সম্ভব হলেও এখনও পর্যন্ত ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ। তারই মধ্যে চলছে উদ্ধার কাজ। শনিবারও তিস্তা থেকে দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীর নন্দনপুর বোয়ালমারী এলাকা থেকে নতুন করে দুটি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এই নিয়ে তিনদিনে জলপাইগুড়িতে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের সংখ্যা বেড়ে হল ২৯। উদ্ধার হওয়া জোড়া দেহ সেনাকর্মীর বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

মৃতদেহ দুটো নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। সঙ্গে ছিলেন সেনার আধিকারিক ও কর্মীরা। সেখানেই দেহ দুটোর শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, উদ্ধারকার্য, ত্রাণ সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনার জন্য শুক্রবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। দ্রুত যাতে চুংথাংয়ের রাস্তা খুলে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে নাগা থেকে টুংয়ের রাস্তা মেরামতির পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভয়ংকর বন্যায় চুংথাংয়ের উপর নদী বাঁধ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাওয়ায় আগের সরকারকে একহাত নেনে প্রেম সিং তোমার। বলে দেন, পূর্বতন সরকার সঠিকভাবে ড্যাম তৈরি করলে আজ এমন দিন দেখতে হত না।

তিনি এও জানান, এই নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে তৈরি হওয়া জলোচ্ছ্বাসে সিকিমে ১১টি সেতু ভেঙে গেছে। এর পাশাপাশি জলের পাইপলাইন, সেচলাইন এবং চার জেলার ২৭৭টি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়দের উদ্ধারের জন্য উত্তর সিকিমে এনডিআরএফ এর দলকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে বন্যার কারণে সামরিক সরঞ্জাম তিস্তায় ভেসে গিয়েছে, তার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকও রয়েছে। সেনার তরফে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নদীতে বা নদীর পাশে কোনওরকম অচেনা জিনিস দেখলে, কোনওরকম প্যাকেজ বা আগ্নেয়াস্ত্র দেখলে তা হাত দিতে বারণ করা হয়েছে।

Free Access

Related Articles