রাজ্যের খবর

বর্ষণ বিপর্যয়ে বানভাসি বাংলা! মেঘভাঙা বৃষ্টির বিপর্যয়ে ‘ত্রস্ত’ সিকিম , উত্তরবঙ্গের দুর্ভোগ বেড়েছে সিকিমের বিপর্যয়ে

Rain Disaster

The Truth of Bengal: বর্ষণে বিপর্যস্ত বাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ— অতিভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি একাধিক জেলায়। ইতিমধ্যে কয়েকটি জেলার বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। দক্ষিণে অতি বৃষ্টির পাশাপাশি ডিভিসি-র ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতি বেশ কয়েকটি জেলায়। উত্তরেও একই পরিস্থিতি। সিকিমে হ্রদ ফেটে তিস্তায় হড়পা বান। যার জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা৷ গোটা পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখার পাশাপাশি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। অতি বৃষ্টিতে মাইথন জলাধার থেকে আবারও ছাড়া হয়েছে জল। তার সঙ্গে অবিরাম বর্ষণ। নবান্ন থেকে আগেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে সাত জেলায়। প্রতিবছরের মতো এবছরও বানভাসি ঘাটাল। একদিকে টানাবৃষ্টি।

অপরদিকে জলধারগুলি থেকে জল ছাড়ায় ঝুমি, শিলাবতী নদীতে বাড়ছে জল। ইতিমধ্যেই জল ঢুকেছে ঘাটাল পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে। আগে যে রাস্তায় গাড়ি চলত এখন সেই এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা, ছোট ডিঙি। দুর্ভোগের কোনও মুক্তি নেই ঘাটালবাসীর।অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে চলতে থাকা দুর্ভোগ আরও বেড়েছে সিকিমের বিপর্যয়ে। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের লোনক হ্রদে ফাটলে রুদ্ররূপ ধারণ করেছে তিস্তা। পাহাড়ি এলাকার দু’কূল ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে তিস্তা। ভেসে গিয়েছেন নদীর ধারে সেনাছাউনিতে থাকা ২৩ জন জওয়ান। তাঁদের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এক্স হ্যান্ডেলে জওয়ান নিখোঁজ ও সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিকিম প্রশাসনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তিস্তায় ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য চলছে। তিস্তার আশপাশের এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিস্তায় ১৫-২০ ফুট ওপর দিয়ে বইছে জল। তিস্তার উপচে পড়া জলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ভেসে গিয়েছে। ফলে সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশের বাকি অংশের। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির ওপর বিশেষ ভাবে নজর রাখতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তরবঙ্গে রওনা দিয়েছেন মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য এবং আইএএস আধিকারিকরা। সাম্প্রতিক কালে একযোগে গোটা বাংলায় এমন বিপর্যয় দেখা যায়নি। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসন। নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা।

Free Access

Related Articles