রাজনীতি

রাজঘাটে শান্তি পূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ তৃণমূলের, বল প্রয়োগ দিল্লী পুলিশের

Tmc Protest in Delhi Police

The Truth of Bengal:  বাংলার মানুষের হকের টাকা আদায়ের আন্দোলনেও কেন্দ্র গাজোয়ারি করতে ছাড়ল না।গান্ধীজয়ন্তীতে রাজঘাটে গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে সামিল হওয়া মানুষকে জোর করে সরিয়ে  দেয় দিল্লি পুলিশ।  সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেককে দিল্লি পুলিশ বাধা দেয়। দিল্লি পুলিশ জোর খাটানোয়  অভিষেক সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করতে পারেনি। তাই অভিষেক হুঁশিয়ারি দেন, বাংলা দিল্লির কাছে মাথা নত করবে না।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের  বাধাদান আসলে ভয় পেয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।  বাধার পাহাড় সরিয়ে  ২অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীতে  দিল্লির গণ-অবস্থানে সামিল হয় বাংলার   উপেক্ষিত মানুষ। সেখানেও বাধার রাজনীতি দেখল গোটা দেশ,বাংলা বুঝিয়ে দিল করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গের  ভাবনায়  তাঁরা.পিছু হঠবে না।স্বাধীনতা সময় থেকে যে বাংলা ব্রিটিশের চমকানি সহ্য করেনি,সেই বাংলার মানুষই রাজঘাটে শান্তিপূর্ণ পথে প্রতিবাদ বার্তা ছড়িয়ে দিল দেশজুড়ে।হঠকারী কেন্দ্রের পুলিশের চোখ রাঙানি একদম মানেনি আন্দোলনকারীরা। রামলীলা ময়দানে দিল্লি পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় রাজঘাটে গণ-অবস্থানের কর্মসূচি নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।২অক্টোবর শান্তির পূজারী অহিংসবাদী গান্ধীজির জন্মজয়ন্তীতে রাজঘাটেই অবস্থানে সামিল হন বাংলার হাজার হাজার বঞ্চিত মানুষ।

তাঁদের নেতৃত্ব দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার জনস্বার্থবাহী ইস্যুতে রাজনৈতিক  স্লোগান দূরে সরিয়ে রেখে অবস্থান-আন্দোলন সংগঠিত করে আন্দোলনকারীরা।মেগা কর্মসূচিকে বাধা দেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশ পদে পদে চেষ্টা করে ।অভিযোগ,শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ভয় পেয়ে ভয়ের আবহ তৈরি  করে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা পুলিশ। সোমবার বেলা ১২টার পর থেকেই জমায়েত শুরু হয়।  মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর রাজঘাটেরই একটি অংশে অবস্থান বসেন বাংলার বঞ্চিত মানুষ।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি  অবস্থানে অংশ নেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা সুব্রত বক্সি,  সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।ছিলেন দোলা সেন, শশী পাঁজা,   তাপস রায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, নুসরত জাহান, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, শতাব্দী রায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়, নির্মল মাজি, শান্তনু সেন, বীরবাহা হাঁসদা, সায়নী ঘোষ সহ প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রী, সাংসদ এবং বিধায়করা। জড়ো হন শয়ে শয়ে  একশদিনের জবকার্ডহোল্ডার থেকে ১০০ দিনের শ্রমিকরাও।

এদিকে, তৈরি অমিত শাহের পুলিশও। বিশাল পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে দিল্লির রাজঘাটে। কমব্যাট ফোর্স রাখা হয়েছে রাজঘাটে। কোনওরকম বিশৃঙ্খলাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। তবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবেই ঘণ্টাখানেক অবস্থান করা হবে রাজঘাটে।যদিও রাজঘাটের এই ধরনা কর্মসূচি নিয়ে কোনও লিখিত অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। তবে জানা যাচ্ছে, ৩০ মিনিটের জন্য বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তবে তাও মৌখিকভাবে, লিখিতভাবে নয়। পুলিশ অনুমতি না দিলেও গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানেই শান্তিপূর্ণ উপায়ে ধরনায় বসেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। রাজঘাটের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা রাজঘাট চত্বর ঘিরে রয়েছে CRPF। প্রত্যেকেরই পরনে রয়েছে সাদা পোশাক। হাতে সকলেই কালো রিবন পরেছেন। রাজ্যের প্রাপ্য টাকার পরিসংখ্যান উল্লেখ করে এবং দ্রুত টাকা মঞ্জুর করার দাবি তুলে প্ল্যাকার্ড হাতে চলছে তাঁদের নীরব প্রতিবাদ।

Free Access

Related Articles