বৈষ্ণব ভক্তরাও আসেন দেবী কাত্যায়িনীর আর্শীবাদ নিতে! শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির পুজোয় ৪০০ বছরের সাবেকী ছাপ
Durga Pujo 2023

The Truth of Bengal: প্রকৃতি আর পুরুষের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। দেব-দেবীর রূপ ভিন্ন হলেও পরমপুরুষের কোনও প্রভেদ নেই বলেই বিশ্বাস করেন ভক্তরা।শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির পুজোয় সেই দেবী কাত্যায়ানিকে পুজোপাঠ করা হয় এই শরতের আশ্বিন প্রাতে। আনুমানিক প্রায় ৪০০ বছর ধরে দেবী কাত্যায়নীর পুজো চলে আসছে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে। দেবীর মূর্তিতেও রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানে দেবীর মূর্তিতে রয়েছে দু’টি হাত বড়। এই দুটি হাত দিয়েই সংহারের কথা বোঝানো হয়েছে। আর বাকি আটটি হাত অনেকটাই ছোট। পুজোর ইতিহাস সম্পর্কে গোস্বামী বাড়ির সদস্য বলছেন,কোনও একদিন তাঁদের ইষ্টদেব রাধারমণ হঠাৎই মন্দির থেকে অদৃশ্য হয়ে যান।
তারপর বাড়ির মহিলারা বাড়ির মন্দিরের উঠোনে বসে দেবী কাত্যায়নীর ব্রত পালন করতে থাকেন। এর তিনদিন পর বাড়ির বয়জেষ্ঠাকে দেবী স্বপ্ন দেন রাধারমণের মূর্তি কোথায় রয়েছে। তারপরেই পাওয়া যায় তাঁদের ইষ্টদেব রাধারমনের মূর্তি। সেই ঘটনার পর থেকেই দেবীর পুজো শুরু হয় নদিয়ার শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়িতে।চাকচিক্যের বদলে রীতি বেসি গুরুত্ব পায় এই গোস্বামী বাড়িতে।এখানে দেবীর সন্তান কার্তিক এবং গণেশ বিপরীত স্থানে অবস্থান করছেন। তবে নবপত্রিকা স্থাপন করা হয় সঠিক স্থানেই। কর্মসূত্রে বা অন্যান্য কাজে বাড়ির যে সমস্ত সদস্যরা বাইরে থাকেন,তাঁরাও পুজোর চারদিন দেবী কাত্যায়নির আরাধনায় মেতে ওঠেন।
আরও জানা যায়, নবমীতে রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর জন্য বিশেষ মঙ্গল কামনা করা হয়।সাবেকী মূর্তি আর পরম্পরাকে রক্ষা করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই পুজোর ঐতিহ্য গুরুত্ব পায়।দেবীর কাছে পুজোতে এলাকার মানুষদের খাওয়ানো হয় ভোগ। তবে ভোগ রান্নাতেও রয়েছে আকর্ষণ, যে সমস্ত বিবাহিত মহিলারা দীক্ষিত তারাই দেবীকাত্যায়ণীর ভোগ রান্নার কাজে নিযুক্ত হন ,এবং যে সমস্ত মেয়েরা অবিবাহিত তারা দেবীর অন্যান্য পূজার সামগ্রী কাজে নিযুক্ত থাকেন ।
Free Access