
The Truth of Bengal: বছরের পর বছর এলাকার মানুষ শুনে আসছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা। কিন্তু যুগের পর যুক কেটে গেলেও আজও বাস্তবায়ন হল না ঘটাল মাস্টারপ্ল্যান। বন্যা প্লাবিত ঘাটাল পরিদর্শন গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গিয়ে দরবার করতে। বিরোধী বিজেপি এগিয়ে না এলেও রাজ্যের মন্ত্রীরা দিল্লি গিয়ে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে দরবার করেছিলেন। সেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় কেন্দ্রকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঁধের অবস্থা বেহাল। নদীতে জল বাড়লেই যে কোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে। ভেসে যেতে পারে বিঘের পর বিঘে কৃষিজমি ও একাধিক গ্রাম। বছরের পর বছর ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে আলোচনা হলেও এলাকার মানুষ দুর্দশামুক্ত হতে পারছে না। চলছে বৃষ্টি। আবার আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে এলাকার মানুষের মনে।এই বাঁধ বাধা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে শুরু হয়েছে চরম কাজিয়া। একে অপরের দিকে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস এলাকাবাসীর দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে জানিয়েছেন, যেই জায়গায় বাঁধের পরিস্থিতি বেহাল সেই সমস্ত এলাকাগুলি নিয়ে সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। দ্রুত মেরামতের উদ্যগ নেওয়া হবে জানিয়েছে প্রশাসন।এলাকাবাসীর বক্তব্য, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বৃষ্টির পরিমাণ কম। তাই হয়তো রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। নিম্নচাপের বৃষ্টির সঙ্গে নদীর জল বাড়লে প্লাবিত হতে পারে কৃষি প্রধান এলাকার সমস্ত জমি। একাধিক গ্রাম ভেসে যেতে পারে।