ফিচার

জানেন কি এই প্রাসাদ তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা, তার অস্তিত্ব এখনও রয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রে

Sigria fort made by Viswakarma!

The Truth of Bengal: পৌরণিক কাহিনীমতে দেবকূলের প্রধান বাস্তুকার ছিলেন বিশ্বকর্মা। তিনি যেমন ইন্দ্রের সভাঘর নির্মাণ করেছিলেন, তেমনই মর্ত্যলোকে একাধিক শহর ও প্রসাদও নির্মাণ করেছিলেন। তার বেশ কিছু ছিল ভারতের ভূখণ্ডে, কিছু ভারতের বাইরে দ্বীপরাষ্ট্রে। ভারতের যেমন তৈরি করেছিলেন ইন্দ্রপ্রস্থ, দ্বারকা এবং সিংহলে লঙ্কা।

বিশ্বকর্মার তৈরি তিন নগরীর আজ অস্তিত্ব নেই। একটি পরিণত হয়েছে আধুনিক শহরে, যা আমরা জানি দিল্লি হিসেবে। শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা নগরী চলে গিয়েছে সমুদ্রের গর্ভে এবং লঙ্কা পরিণত হয়েছে শ্রীলঙ্কায়।

ভারতের কালজয়ী ও বিশ্ববিখ্যাত মহাকাব্য রামায়ণের সূত্র বলছে, লঙ্কা নগরী তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা। রাবণের নির্দেশ মতো লঙ্কানগরী তৈরি হয়েছিল, পুরো সোনা দিয়ে। লোকশ্রুতি রয়েছে, সমুদ্র দিয়ে ঘেরা, সূর্যের প্রথম আলো পড়ল রাবণের লঙ্কা নগরীতে। যার প্রথম ছটায় তৈরি হত আর এক সূর্যের মতো তেজ। কিন্তু সেই রাবণের স্বর্ণলঙ্কার কি অস্তিত্ব এখনও রয়েছে? শ্রীলঙ্কার বহু বাসিন্দা মনে করেন, বর্তমানে সিগিরিয়ার কেল্লাই ছিল এক সময়ে লঙ্কার সোনারকেল্লা। যা হনুমানের সৌজন্যে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।

রামায়ণে বর্ণিত দশাননের দুর্গ ছিল, দুর্ভেদ্য গভীর অরণ্য ও পাহাড়ের মধ্যে। সত্যি শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে দুর্ভেদ্য পাহাড়ি অরণ্য এলাকা সিগিরিয়ার সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। যদিও বৌদ্ধ ধর্মের শ্রমণদের রচিত কিছু নথি থেকে শ্রীলঙ্কার কিছু ইতিহাস মেলে। সেই সূত্র ধরে জানা যায়, ৪৭৭ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ শ্রীলঙ্কায় এক রাজা ছিলেন প্রথম কাশ্যপ। তিনি ছিলেন শ্রীলঙ্কার রাজা ধাতুসেনার পুত্র। সেই সময় রাজধানী ছিল শ্রীলঙ্কার অনুরাধাপুরায়। কাশ্যপ তাঁর পিতাকে হত্যা করে সিংহাসন দখল করেন। এবং সিগিরিয়ায় এসে এই দুর্গম খাড়াই পাহাড়ের উপর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মোড়া এক দুর্গ নির্মাণ করেন।

অনেকেই মনে করেন, এই সিগিয়াই ছিল রাবণের সোনার কেল্লা। এই দুর্গের অস্তিত্ব এখনও রয়েছে। এর স্থাপত্য এখনও আন্তর্জাতিক স্তরের বহু বাস্তুকারদের ভাবিয়ে তোলে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে, এই কেল্লা কীভাবে তৈরি করা হয়েছিল?