কলকাতা

ভিন রাজ্যে পাচার করা হচ্ছে হাতি, ফেরত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

Elephant Smuggling

The Truth of Bengal: ভারতের বণ্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে একটি কঠোর আইন রয়েছে, ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্ট ১৯৭২। সেই আইনের ৪০ (২) ধারায়  বলা হয়েছে, চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন বা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের লিখিত অনুমোদন ছাড়া, হাতি প্রতিপালন, গৃহস্থলির কাজে ব্যবহার করা এবং কেনাবেচা করা যাবে না। কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে হাতি পাচার। অভিযোগ তোলা হয়েছে, রাজ্যে ২৬ থেকে ২৮টি হাতি পাচার হয়ে গিয়েছে ভিন রাজ্যে। এই মর্মে একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে  আবেদনে বলা হয়েছে, আইন অনুসারে হাতি বিক্রি করা যায় না এবং  উপহারও দেওয়া যায় না। অথচ রাজ্য থেকে হাতি পাচার হচ্ছে মানে, সেগুলি কেউ না কেউ কিনছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, নটরাজ নামক একটি সার্কাস সংস্থা তিনটি হাতি বিক্রি করে দেয়। পরে সেই হাতিগুলির খোঁজ মেলে বিহারের একটি আশ্রমে।  আশ্রম কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল,  হাতিগুলি তারা উপহার পেয়েছিল। আশ্রমে তাদের যথেষ্ট যত্নে রাখা হয়। হাইকোর্টে আবেদনকারীর আইনজীবীর অবশ্য দাবি, হাতিগুলিকে কিনে তারা বেগার খাটায়। আর এই ঘটনার পিছনে রাজ্যসরকার ও বনদফতরের উদাসীনতা রয়েছে।

হাতি বিশেষজ্ঞদের মত, বর্তমানে রাজ্যে একের পর এক সার্কাস সংস্থাগুলি লোকসানের চোটে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।  সেই সব সার্কাসে যে সমস্ত হাতি থাকত, তাদের বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, বলা ভালো পাচার করে দেওয়া হচ্ছে ভিন রাজ্যে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির দাবি, অবিলম্বে ভিন রাজ্যে পাচার হয়ে যাওয়া সমস্ত হাতিকেই রাজ্যে ফেরাতে হবে। কারণ হাতি রাজ্যের সম্পত্তি।

 

 

Related Articles