
The Truth of Bengal: এবার বসিরহাটে টোটো নিয়ন্ত্রণে QR কোড লাগানো বাধ্যতামূলক করা হল। মধ্যমগ্রামের পর এবার বসিরহাটে এমন উদ্যোগ নিল প্রশাসন। রাস্তায় যত্রতত্র টোটোর দাপট ঠেকাতে QR কোড লাগানোর ব্যবস্থা করা হল। উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বসিরহাট পুরসভার উদ্যোগে। গোটা শহর জুড়ে এই মুহূর্তে আড়াই থেকে তিন হাজার টোটো চলছে। যে টোটোগুলি কোনও নিয়ম মানে না বলে অভিযোগ। অবাধ্য টোটোগুলিতে এবার শৃঙ্খলায় বাঁধতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হল।
ইছামতি নদীর তীরে সীমান্ত শহর বসিরহাট। জেলা তথা রাজ্যে জন ঘনত্বের নিরিখে প্রথম সারিতে শহর বসিরহাট। ভারত-বাংলাদেশ ঘোজাডাঙা সীমান্তে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলে। নিত্যদিনে যানজটে জর্জরিত হয় বসিরহাট শহর। প্রথম দিকে টোটো মন কেড়েছিল শহরবাসীর। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে সংখ্যা বাড়ায় সেই টোটো শহরের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। শহরে নিত্য যানজটের জন্য কয়েক হাজার টোটোকেই দুষছে বসিরহাটবাসী। রাস্তায় যত্রতত্র টোটোর দাপট ঠেকাতে লাগানো হচ্ছে কিউ আর কোড।
শৃঙ্খলায় বেঁধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য টোটোগুলিকে বৈধতা দিতে অভিনব উদ্যোগ নিল বসিরহাট পুরসভা। টোটোগুলিতে কিউ আর কোডই হল পরিচয়পত্র। আগামী মাসের মধ্যেই এই অভিনব উদ্যোগ চালু হতে চলেছে। এবার টোটোর দাপট কিছুটা কমবে বলে আশাবাদী শহরবাসী। বেকার যুবকদের শুধুমাত্র টোটো চালানোর সুযোগ দেওয়া হবে। মালিকানাধীন ভাবে একই ব্যক্তির একাধিক রেজিস্ট্রেশনের টোটো চালানো বন্ধ করা হবে। নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা জানতে এই কিউআর কোড স্ক্যান করা হলে টোটো মালিকের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
এই উদ্যোগ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে যে সব টোটোগুলিতে কিউআর কোড থাকবে না, সেগুলি আর বসিরহাটে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। ফলে একদিকে যেমন টোটোর একচেটিয়া দাপট ঠেকানো সম্ভব হবে, তেমনই বেআইনিভাবে যে টোটোগুলি চলছিল তা ঠেকানো সম্ভব হবে। পুরো পদ্ধতিটিই ডিজিটাল হতে চলেছে। সব মিলিয়ে বসিরহাট শহর পুজোর আগেই যানজটহীন হতে চলেছে দাবি বসিরহাট পুরসভার। খুশি শহরবাসী।