বিনোদন

মহানায়ককে ফিরে দেখা! জন্মদিনে আবেগময় শ্রদ্ধাজ্ঞলি

Uttam Kumar’s 97th Birthday

The Truth of Bengal: মহানায়ককে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর জন্মদিবস উপলক্ষে ভবানীপুরের লেডিস পার্কে ৩দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মূলতঃ বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তম কুমারের অবদান স্মরণ করতে বিশেষ অনুষ্ঠান। সুরে-ছন্দে বাঙালির আইডলকে সম্মান জানানো হয়। রবিবার উত্তমকুমার স্মৃতি রক্ষা কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সি ও দেবাশিস কুমার। হাজির ছিলেন  উত্তম কুমার পরিবারের সদস্যরা। সুরে-ছন্দে মাতোয়ারা ভবানীপুরের মহানায়ক উত্তম উদ্যান।

তিনি বাঙালির চিরকালের ম্যাটিনি আইডল,মায়াডোরে বাঁধা আদি-অকৃত্রিম অভিনেতা। সদা হাস্যোজ্জ্বল,প্রাণবন্ত সেই মহানায়ক এখনও আমাদের মননে চির উজ্বল। কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে তিনি মহানায়ক। তাঁর ভুবনভোলানো হাসি আর শরীরি ভাষায় আলাদা জাদু ছিল।  তিনি আমাদের কাছে প্রিয় উত্তম।    ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর   ভবানীপুরের  মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মান তিনি। কলকাতার এই মিনি ইন্ডিয়াতেই বেড়ে ওঠেন তিনি।আসল নাম ছিল  অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়,যিনি পরবর্তী সময়ে সুন্দর মুখ আর অভিনয়ের গুণে হয়ে ওঠেন অগণিত নারীর স্বপ্নেরপুরুষ।

সেই আবেগভরা উত্তমকুমারের জন্মদিবস পালনের জন্য শহরেই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার থেকে উত্তম স্মৃতিধন্য ভবানীপুরের লেডিস পার্কে শুরু হয়েছে ৩দিনের অনুষ্ঠান।অনু্ষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।হাজির ছিলেন উত্তমকুমারের পরিবারের সদস্যরা।ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী সাহানা বক্সি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।তিনদিনের মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের কথা আমাদের সামনে তুলে ধরেন উত্তমকুমার স্মৃতি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও মেয়র পারিষদ সন্দীপ রঞ্জন বক্সি।

বাঙালির বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন উত্তমকুমার। ভবানীপুরেই যাঁর জন্ম হয়। একের পর এক বিস্ময়কর অভিনয় মাত করে দেয় দর্শকদের।   প্রথম ছবি ‘দৃষ্টিদান’,  এরপর ‘মায়াডোর’ ও ‘বসু পরিবার’। আর  ১৯৫৩ সালে তাঁর অভিনীত ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ দর্শকদের দরবারে  ঝড় তোলে। কার্যতঃ তিনি কখনও সুচিত্রা সেন,কখনও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বা অন্যদের সঙ্গে জুটি বেঁধে জমিয়ে অভিনয় করেন। উত্তম যুগ উপহার দেন আপামর বাঙালিকে।

পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে ‘হারানো সুর’, ‘পথে হল দেরী’, ‘সপ্তপদী’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘বিপাশা’, ‘জীবন তৃষ্ণা’ আর ‘সাগরিকা’-এর মতো কালজয়ী সব ছবি মাস্টারপিস হয়ে ওঠে।  সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ ও ‘চিড়িয়াখানা’ উত্তম কুমারের আরো দু’টি সেরা চলচ্চিত্র। মজার ব্যাপার হল, উত্তম কুমারকে ভেবেই ‘নায়ক’ ছবি করার পরিকল্পনা করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। বাংলা থেকে হিন্দি সব চলচ্চিত্র জগতেই তাঁর অবাধ বিচরণ ছিল।সেই শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে উত্তম স্নেহছোঁয়ায় গড়ে ওঠা পার্ককেই বেছে নেওয়া হয়। বাঙালির সেই আইকনকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্যের নানা প্রান্তেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।কিন্তু ভবানীপুরের মহানায়ক উত্তম উদ্যানের এই অনুষ্ঠানে আবেগের আলাদা ছোঁয়া আছে।সেই আবেগকে বাংলাজুড়ে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী উত্তমকুমারের গুণগ্রাহী। ক্যামেরায় সৌমেন ঘোষালের সঙ্গে তিতলি বিশ্বাসের রিপোর্ট।

 

Related Articles