
The Truth of Bengal: ডুয়ার্স মানেই আমরা জানি কেবল জঙ্গল। কিন্তু জঙ্গল ছাড়াও বিন্দু পাহাড়ি গ্রামের মত একটি ছোট্ট অফবিট ডেসটিনেশন এখানে রয়েছে সেটা অনেকের কাছেই অজানা। ভারত-ভুটান সীমান্তের শেষ জনপদ এই ছোট্ট গ্রাম বিন্দু । বিন্দুকে অনেকেই হ্যামলেট অব বেঙ্গল বলে থাকেন। এখানে অসংখ্য নাম না জানা সব পাখিদের আনাগোনা সারাবছরই লেগে থাকে। পাখি প্রেমী যাঁরা তাঁদের কাছে এটা প্যারাডাইস বললে ভুল হবে না। নামটা অদ্ভুত শোনালেও জায়গাটি কিন্তু অপূর্ব সুন্দর। ভারত-ভুটান সীমান্তের শেষ জনপদ এই ছোট্ট গ্রাম বিন্দু । পাহাড়ের গায়ে লুকিয়ে থাকা সবুজ গ্রাম এটি । জলঢাকা নদীর পাড়ে এই ছোট্ট গ্রামটিকে প্যারাডাইস বললে ভুল হবে না।
বিশুদ্ধ বাতাস ভরা এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামের পাথুরে পথ দিয়ে বয়ে চলেছে জলঢাকা নদী। বর্ষায় নদী ফুঁসে ওঠে। তখন তার গর্জন শোনার মত। প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্যকে এখানে মেলে ধরেছে। বিন্দুতে জলঢাকা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে আরও দুটি ছোট নদী, বিন্দু খোলা ও দুধ পোখরি। জলঢাকার প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিন্দুতে তৈরি হয়েছে বাঁধ। বেশ পুরনো বাঁধ এটি। বাঁধের ওপারে ভুটানের পাহাড়। বিন্দু থেকে ভুটানের বেশ কিছুটা অংশ দেখা যায়। বিন্দুর কাছেই রয়েছে প্যারেন। সেই গ্রামও অসম্ভব সুন্দর। প্যারেনকে নর্থ বেঙ্গলের সুইৎজারল্যান্ড বলা হয়। যাঁরা ট্রেকিং করতে ভালবাসেন বা একটু অ্যাডভেঞ্চারে বিশ্বাসী তাঁদের জন্য এই বর্ষায় সেরা ঠিকানা বিন্দু। বৃষ্টিস্নাত অরণ্য, পাহাড়, বেগবতী নদী, নদীবাঁধের মধ্যে দিয়ে মুক্তি পাওয়া সগর্জন জলস্রোত, সবমিলিয়ে বিন্দুর সেই অসামান্য রূপে আপনাকে মজতেই হবে।
বিন্দুকে অনেকেই হ্যামলেট অব বেঙ্গল বলে থাকেন। চারদিক সবুজ ঘেরা ঘন জঙ্গলে কান পাতলে পাখির ডাক আর নদীর শব্দ শোনা যায় । যাঁরা নিরিবিলিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান, তাঁদের জন্য সেরা ডেস্টিনেশন হতে পারে এই বিন্দু। রাতে আলো-আঁধারিতে মায়াবী দেখায় বিন্দুকে । তখন পাখির ডাক নয়, শোনা যায় শুধু ঝিঁ ঝিঁর ডাক। আর আকাশের দিকে তাকালে দেখা যায় তারায় ভরা আকাশ। এবার নিশ্চয় মন চাইছেতো পাহাড়ি এই গ্রামে যেতে! শিলিগুড়ি থেকে বিন্দুর দূরত্ব ১০২.৩ কিলোমিটার। সময় লাগে কমবেশি তিন ঘন্টা। শিলিগুড়ি পি.সি.মিত্তাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসও যাচ্ছে ঝালং-প্যারেন হয়ে বিন্দু। ঝালং থেকে বিন্দু ৯.৩ কিলোমিটার মাত্র।ইদানিং বিন্দুতে প্রচুর হোমস্টে ও পছন্দসই জলপানের দোকান গড়ে উঠেছে। তাই রাত্রি বাসের ক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারন নেই। এছাড়াও প্যারেনে পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের কটেজ রয়েছে। আপনি মন চাইলে সেখানেও রাত্রি যাপন করতে পারেন।তাহলে আর দেরি কীসের। বেড়িয়ে আসুন বিন্দু থেকে।