
The Truth of Bengal: চারদিনের জমজমাট পুজোপাঠ দর্শনার্থীদের উত্সবমুখর করে রাখে। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে পুজো হয় দুর্গার। ৪দিন জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে মানুষ দুগ্গাদেবীর পুজোপাঠ করে। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে দেবীর আরাধনা করা হয়। দুর্গোত্সবের সেই আড়ম্বর এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও আনন্দের প্লাবন বয়ে আনে। কিন্তু জানেন কী এই বাংলায় দুর্গাপুজোর আগেই মহিষাসুরমর্দিনী পুজোর হয়। কৃষ্ণনগরে মহাআড়ম্বরে নিষ্ঠা ও পরম্পরা মেনে শ্রাবণের শুক্লা পক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহিষাসুরমর্দিনী পুজো হয়।
গোলাপট্টির বারায়োরি পুজো কমিটি প্রায় ৩৫০বছর ধরে এই পুজোপাঠ করে আসছে। কথিত আছে, প্রায় ৩৫০ বছর আগে , কৃষ্ণনগর গোলাপট্টি এলাকায় ব্যবসায়ীরা জলপথে জিনিসপত্র নিয়ে এসে এই এলাকায় মজুত করে রাখত। সেই থেকেই ওই জায়গার নাম হয় গোলাপট্টি। হঠাৎ করেই আবির্ভাব হয় জলদস্যুর।আর সেই জলদস্যুদের উৎপাতে নাজেহাল হয় ব্যবসাদারেরা। হার্মাদরা অতর্কিত হামলা করে লুঠ করে জিনিসপত্র ।
পরিত্রাণ পেতে মহিষাসুরমর্দিনীর আরাধনা শুরু হয়।এখন এই মহিষাসুরমর্দিনীই শ্রাবণের অকাল দুর্গোত্সব হয়ে উঠেছে মাটির পুতুল শিল্পের এই শহরে।সর্বজনীন উত্সব সাড়া ফেলে জেলা শহরে। ৫৫দিন পর পুজো হবে। আমবাঙালি মেতে উঠবে ভুবনজয়ীর আরাধনায়। এখন নিমাইয়ের ভূমিতে আগাম দুর্গার পুজো যেভাবে সমাজজীবনে আনন্দের হিল্লোল তোলে তাতে কেউ কেউ বলছেন,উত্সবপ্রিয় বাঙালির আন্তরিকতায় কোনও খাদ নেই।