রাজ্যের খবর

বিপদের কিনারায় খনি অঞ্চল! ধস রুখতে চাই ব্লুপ্রিন্ট

Landslide

The Truth of Bengal: আসানসোল-রাণিগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায়শই ধস নামে। এই ধস নতুন কিছু নয়।যোশীমঠের ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখে এখন এই বাংলার খনি অঞ্চলের মানুষ যেন সিঁদুরে মেঘ দেখছে।ভাবছেন কখন যে কোন এলাকা   ধ্বংসের অতলে তলিয়ে যাবে কেউ জানে না।তারমাঝে অণ্ডালের হরিশপুর,সর্বহারা হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন,ঘুম ছুটছে সাধারণ মানুষের।সবার মুখে একটাই অভিযোগ,জীবন আর সম্পত্তির বিপর্যয়ের ঘটনা বারবার দেখেও নিশ্চুপ ইসিএল,কোনও রা কাড়ছে না কেন্দ্র।

‘ইসিএল’-এর মতো একটি সংস্থা কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব পাওয়ার পরে, অনেকেই আশা করেছিলেন যে এ বার হয়তো এই অঞ্চলে অবৈজ্ঞানিক ভাবে কয়লা খনন বন্ধ হবে এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হবে। কিন্তু স্থানীয় মানুষজনের অভিজ্ঞতা বলে ‘ইসিএল’-এর আমলে কয়লাখনন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন এলেও বাস্তবে সমস্যা কমেনি। বরং  এই এলাকায় ধসের মতো ঘটনা বারবার ঘটছে। বুধবার রাতেও সেই বাড়িতে ফাটল শোরগোল ফেলে।হরিশপুর হয়ে ওঠে আতঙ্কপুর।   ধস বা কয়লানিতে আগুনের মতো যে ঘটনাগুলি অনবরত ঘটে চলেছে, তা আগামীর পক্ষে অশনিসঙ্কেত     বলে মনে করছেন অনেকে।সাধারণ মানুষ চাইছেন,সবার আগে বাড়ি ভেঙে পড়ার ফুলপ্রুফ পরিকল্পনা কার্যকর হোক।

সবার একটাই দাবি,পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হোক,ফাটলের ভয় কাটুক।কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় সংস্থা সবকিছু ছেড়ে যোশীমঠের মতো অবস্থা আটকাতে এখন থেকেই এগিয়ে আসুক।সুরক্ষিত থাক সবার ভবিষ্যত। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছিলেন ‘বাঘের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া আমরা বাঁচিয়া আছি’। এই কথাটা পশ্চিম বর্ধমান জেলার অণ্ডাল, রানিগঞ্জ, আসানসোল এলাকার মানুষদের ক্ষেত্রে সর্বার্থে প্রযোজ্য। এই অঞ্চলের বাসিন্দারা ‘বাঘ’ নয়, প্রতিদিন লড়াই করে চলেছেন মৃত্যুর সঙ্গে।তাই জীবনমুখী ভাবনা চিন্ত নিয়ে ইসিএল সবার আগে কোনও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয় কিনা সেটাই লক্ষ্যণীয়।

Related Articles