
The Truth of Bengal: ডেঙ্গির মতো রোগ মাথা চাড়া দেওয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় তার ছায়া পড়ছে।বিশেষতঃ বর্ষার সময় মশাবাহিত রোগ ভাবাচ্ছে পুরপ্রশাসন থেকে পঞ্চায়েত সবাইকেই।সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের মোট ডেঙ্গির কেস হয়েছে ৪৪০১। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ডেঙ্গির পজিটিভিটি রেট ১.৪৭শতাংশ এবং সেখানে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৪.৩শতাংশ।নবান্নও এই মরসুমী রোগের লাগাম টানতে জারি করেছে নির্দেশিকা।রাজ্যের নির্দেশাবলী অনুষায়ী কলকাতা পুরসভাও ময়দানে নেমেছে। সাধারণ মানুষের মতোই সচেতন করা হচ্ছে কেন্দ্রও রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকো।সেই লক্ষ্যে এবার লালবাজারকেও সতর্কতার নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুরসভা।
১২টি সরকারি দফতরকে নোটিশও পাঠানো হয়েছে।কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের মধ্যে রয়েছে মেট্রো রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অফিস, পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের অফিস, শিয়ালদার ডিআরএমের অফিস, সিপিডব্লিউডি-র চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অফিস এবং ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই)-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকের অফিস।রাজ্যের অফিসগুলোর মধ্যে রয়েছে দমকলের ডিজি-র অফিস, আবাসন দপ্তরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারের অফিস, পূর্ত দপ্তরের সুপারিন্টেনডেন্টের দফতর।মহানাগরিক নিজেই এই রোগ নিয়ে সরকারি অফিসকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ৪ অগস্ট কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ও একাধিক শীর্ষ অফিসার মুচিবাজারে দু’টি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার অফিসে যান।সেখানে তাঁরা দেখেন অফিসের ভিতরে মশার আঁতুড়ঘর। সেই ছবি দেখে ক্ষুব্ধ হন মেয়র ও ডেপুটি মেয়র।
সে দিনই পুরসভার সদর কার্যালয়ে ফিরে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছিলেন, ডেঙ্গি রোধে কলকাতায় থাকা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিসকে পুরসভা নোটিস পাঠাবে। তার পরেই বুধবার ও বৃহস্পতিবার পুরসভার নোটিস পাঠানো হয়। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘নোটিসে জানানো হয়েছে যে, কোথাও জল জমে থাকলে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। এমনকী, আবর্জনা জমলে তা-ও দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে।তাই পুরকর্তৃপক্ষ রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে ডেঙ্গির আঁতুরঘরে পৌঁছে গিয়ে গ্রাউন্ড জিরো থেকে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে।নাগরিকরাও এই স্বাস্থ্য সচেতনার প্রচারাভিযান দেখে এগিয়ে আসছেন।যাঁরা অসচেতন তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থাও নিতে চায়।