রাজনীতি

গেরুয়া শিবিরে বিবেকের স্বর! বাংলার ন্যায্য দাবিতে বিজেপিতে বিভাজন

Bjp MLA Support Tmc

The Truth of Bengal: একশদিনের কাজ করলেও টাকা পাচ্ছে না শ্রমিকরা। খেটেখাওয়া মানুষের অন্নসংস্থানে টান পড়ছে।একশদিনের কাজের ৭ হাজার কোটি টাকা সহ মোট ১লক্ষ ১৫হাজার কোটি টাকা না মেলায় রাজ্যের মানুষ বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।  তাই বাংলার মানুষের স্বার্থে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।গণ-অবস্থানের মাধ্যমে বঙ্গবাসীর দাবি আদায় করতে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন।সেই আন্দোলনের মাঝেই বিজেপির নেতারা বাংলার প্রাপ্য দেওয়ার কথা না বলে বিরোধিতা করছেন।পঞ্চায়েত ভোটের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায় রাজ্যের টাকা না দেওয়ার হুঙ্কার শোনা যায়।স্পষ্ট হয় বঞ্চনার ট্রাডিশন বজায় রাখতে মরিয়া বিজেপির রাজ্য নেতারা।

কিন্তু যাঁরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন যাঁরা শিকড়ের সংযোগ বজায় রাখতে চান তাঁদের বিবেক জাগ্রত হয়ে উঠছে। সেরকমই বিবেকের স্বর শোনা গেল,গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সতেন্দ্রনাথ রায়ের গলায়। তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চে গিয়ে সত্যেন্দ্রনাথ রায় দাবি করেন, কেন্দ্র রাজ্যের দাবি মতো পাওনা মিটিয়ে দিক। প্রকাশ্যে বিজেপি বিধায়কের বাংলাবন্ধু মন্তব্যে তোলপাড়।বিজেপির নীচের তলার নেতারাও ক্ষুব্ধ রাজ্য নেতাদের ভূমিকায়।বঙ্গভঙ্গ থেকে সামাজিক বিভাজনের জন্মদাতা রাজনীতিকদের মধ্যে ঠোকাঠুকি বাড়ছে,বাড়ছে ফাটল, তোপ তৃণমূলের।

তৃণমূলের বিক্ষোভ সমাবেশে বিজেপির বিধায়ক উঠে যাওয়ায় তৃণমূল এটাকে তাদের নৈতিক জয় হিসেবে দেখাতে চাইছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলছেন তৃণমূলের যে দাবি কার্যত সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন সত্যেন্দ্রনাথ রায়। বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের বাড়ির প্রায় ২০০ মিটার দূরে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অর্পিতা ঘোষ,   সহ অন্যান্য তৃণমূলের নেতৃত্ব।সুকান্ত মজুমদার ডাকে সাড়া না দিলেও সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের বোধোদয় হওয়ায় তার তারিফ করছেন অনেকে।আসলে চব্বিশের আগে বিজেপির রাজনৈতিক জমিতে ধস বুঝতে পেরে দলের বিধায়করা রাজ্য নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিচ্ছেন বলে কটাক্ষ করছেন একশদিন সহ অন্যান্য কাজে বঞ্চিত উত্তরবঙ্গের মানুষ।

Related Articles