ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নতির লক্ষ্যে মালদায় শুরু হয়েছে শিল্পের সমাধান কর্মসূচি
Industry Devlopment

The Truth of Bengal: মালদায় শিল্প উন্নতির সমাধানের পথ বাতলে দিচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা। উদ্যোগীরা একছাতার তলায় সব কিছু পেয়ে লগ্নিতে উত্সাহ পাচ্ছে। উত্তরবঙ্গে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ থেকে ছোট শিল্পের হাত ধরে রোজগারও বাড়ছে। রাজ্যের প্রত্যন্ত প্রান্তে সম্ভাবনাময় শিল্প স্থাপনকে প্রশাসন পাখির চোখ করেছে। কোথায় কোথায় কী শিল্প হতে পারে তাও প্রশাসনের কর্তারা খতিয়ে দেখছেন।সেইমতো শিল্পের সমাধানের পথও খুলে দেওয়া হচ্ছে। শিল্পের জমি,রাস্তাঘাট,বিদ্যুত সহ পরিকাঠামোগত বিকাশে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।সেইমতো জেলায় জেলায় শিল্প সমাধানে উপায় বের করা হচ্ছে। যারজন্য শিল্পে বাংলা এগিয়ে বলে দাবি প্রশাসনের কর্তাদের।
সম্প্রতি এমএসএমই এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল এবং কনফেডারেশন অফ অরগ্যানিক ফুড প্রোডিউসার্স অ্যান্ড মার্কেটিং এজেন্সি যৌথভাবে ‘বিনিয়োগ- পশ্চিমবঙ্গে বৃদ্ধি ও উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি সমীক্ষাপত্র প্রকাশ করেছে। সেখানেই এমএসএমই ইপিসি-র চেয়ারম্যান ডিএস রাওয়াত এই সমীক্ষা রিপোর্টটি পেশ করতে গিয়ে বলেছেন, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের শেষে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে চলা কয়েকটি বড় লগ্নির মাধ্যমে বিনিয়োগ সম্ভব হবে।তবে ছোট শিল্পের মাধ্যমে রোজগার বাড়ার সম্ভাবনা।
এই শিল্পের আরও বিস্তারের লক্ষ্যে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে শিল্প সমাধান কর্মসূচি।মালদায় ১থেকে ১৮ অগাস্ট এই বিনিয়োগবন্ধু কর্মষজ্ঞ চলছে। ২০২২-এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সিএমআইই-র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় ছ’টি বড় প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে। এর প্রত্যেকটির বিনিয়োগ মূল্য ৫০০ কোটি টাকার বেশি। সব প্রকল্প মিলিয়ে বিনিয়োগ মূল্য ৪১৬০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে। মোট ঘোষিত বিনিয়োগ প্রকল্পের ৬১.৬ শতাংশ। শিল্পায়নের গতি বাড়াতে শিল্প সমাধান কর্মসূচি বলে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন।মাইক্রো বা ব্লক স্তরে ব্যবসামুখী এই বিনিয়োগ বন্ধু আবহ তৈরির চেষ্টা সবমহলে আশার আলো জ্বালাচ্ছে।