
The Truth of Bengal: ২১ –এর আবেগে জনজোয়ারের স্রোতে ভাসতে চলেছে শহর কলকাতা। দূর থেকে ইতিমধ্যে শহরে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। কোনও বিঘ্ন ছাড়াই সভা সফল করতে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শহরকে সচল রেখে সভা করা শেষ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় পুলিশের কাছে। প্রতিবার সেই চ্যালেঞ্জ সফল ভাবে উতরে যায় পুলিশ। এবারও আগেভাগেই পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছে লালবাজার। পুলিশের তরফে নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। সভামঞ্চ ছাড়াও সভাস্থলের আশেপাশে কড়া নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
মূল মঞ্চ থাকবে ভিভিআইপি জোনের মধ্যে। যার দায়িত্বে থাকবেন দু’জন অ্যাডিশনাল সিপি পদমর্যাদার অফিসার। আর থাকবেন ৯ জন জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদা এবং ও ২৩ জন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। শহরজুড়ে থাকছে ৩২টি হেল্প ডেস্ক করা হচ্ছে। ধর্মতলা চত্বরে তৈরি করা হয়েছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ারে। তিন জায়গায় রাখা হচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে এই এলাকায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হবে গোটা ধর্মতলা চত্বর।
নিরাপত্তা, যান-চলাচল ও আইন-শৃঙ্খলা- মূলত এই তিনটি বিষয়ের উপরেই জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী মোতায়েন থাকবেন। হেভিওয়েট রাজনীতিকদের কথা মাথায় রেখে, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। যান-চলাচলের ক্ষেত্রে এবং শহরের সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টির দিকেও নজর রাখছে পুলিশ। একুশে জুলাইয়ের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কোথাও কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশ্বস্ত করছে লালবাজার।