
The Truth of Bengal: বিজেপি বিরোধিতায় একজোট হতে প্রথম সলতে পাকানো হয়েছিল পাটনায়। এবার দ্বিতীয় বৈঠক হল বেঙ্গালুরুতে। মতানৈক্য দূর করে একমঞ্চে আসেন ২৬টি বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। সকলেরই লক্ষ্য, বিজেপিকে হারানো। গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল এই বৈঠকের দিকে। বৈঠক নিয়ে একদিকে আশাবাদী বিরোধী শিবির। অন্যদিকে, কটাক্ষ বিজেপির। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ছিল বিরোধী দলগুলির বৈঠক। বৈঠকে হাজির ছিলেন সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব-সহ বিরোধী দলের তাবড়-তাবড় নেতারা। বিজেপি বিরোধিতায় এক সুর সব বিরোধী দলের নেতৃত্বের মুখে।
বেঙ্গালুরুতে বৈঠক হলেও সেদিকে নজর ছিল এই বাংলার শাসক-বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের। বিজেপি বিরোধীতার ফল তুলতে আশাবাদী রাজের শাসক দল আবার বৈঠককে কটাক্ষ বিজেপির। কর্ণাটকে বিরোধীদের বৈঠককে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কেন আক্রমণ করছে বিজেপি? এই প্রশ্নে তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু জানান, বিরোধীদের একজোট হওয়া দেখে হৃৎকম্প শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি বিরোধী দলগুলির এই বৈঠকে বিশেষ ভূমিকা নেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন দাবি করেছে রাজ্যের তৃণমূল নেত্রী ডাঃ শশী পাঁজা।
বেঙ্গালুরুতে বিরোধী শিবিরের মেগা বৈঠকে নজর ছিল গোটা দেশের। বিজেপি বিরোধিতার সুর এবার আড় কড়া হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তব এই বৈঠকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। পাটনায় বিরোধী শিবিরের প্রথম বৈঠক আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মূলত তিনিই পাটনায় বৈঠক আয়োজন করার ব্যাপারে অনুরোধ করেছিলেন নীতীশ কুমারকে। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় বৈঠকেও অন্যতম মধ্যমণি ছিলেন।