Jharkhand: ঠাকুমার হত্যাচেষ্টা থেকে ফিরে আসা ‘অগ্নিকন্যা’র পাশে দাঁড়াল পুলিশ
শুধুমাত্র মেয়ে হয়ে জন্মেছে বলেই ওই সদ্যজাতকে শেষ করে দেওয়ার নকশা করা হয়।
দেবব্রত বাগ, ঝাড়গ্রাম: কন্যা সন্তান হওয়ার অপরাধে নিজের ঠাকুমা বিষ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল কয়েক দিনের শিশু কন্যাকে। এবার পুলিশ সেই পরিবারের পাশে দাঁড়াল বেলিয়াবেড়া থানা। গত ১ নভেম্বরে শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার তালগ্রাম গ্রামে মাত্র আট দিনের একটি নবজাতক কন্যাশিশুকে দুধের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়— অত্যন্ত মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ উঠে ছিল শিশুটিরই ঠাকুমার বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র মেয়ে হয়ে জন্মেছে বলেই ওই সদ্যজাতকে শেষ করে দেওয়ার নকশা করা হয়। ঘটনার পর শিশুটিকে দ্রুত গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়ে স্থানান্তরিত করা হয় ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সেখানে শুরু হয় তার জীবন-মরণের লড়াই। মায়ের বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কেসটির তদন্তও এগোচ্ছে দ্রুত, অদূর ভবিষ্যতেই চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এরই মাঝে ঘটে আশার আলো। টানা ১১ দিনের কঠিন লড়াই শেষে অবশেষে জীবনের জয় হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং নবজাতকের অদম্য জীবনীশক্তির কাছে হার মানে মৃত্যুফাঁদ। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে শিশুটি। জীবনযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসা এই ‘অগ্নিকন্যা’র পাশে দাঁড়াল মানবিক বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ প্রশাসন।
ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের বেলিয়াবেড়া থানার পক্ষ থেকে শিশুটির পরিবারকে দেওয়া হয় নতুন পোশাক ও বেবি ফুড। এদিন বেলিয়াবেড়া থানার ওসি নীলু মন্ডল শিশুকন্যার বাড়ি পৌঁছান এবং বেলিয়াবেড়া থানার পক্ষ থেকে পাশে থাকার বার্তা দেন। পুলিশ প্রশাসনের এই মানবিক উদ্যোগে খুশি পরিবার থেকে এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিবেশীরাও জানান, এমন একটি দুঃখজনক ঘটনার পর শিশুটির প্রতি পুলিশের এই সহমর্মিতা তাদের মনে সাহস জুগিয়েছে। সমাজকে কাঁপিয়ে দেওয়া এই ঘটনার মাঝেও মানবিকতার এই দৃষ্টান্ত একদিকে যেমন আশ্বাস জোগায়, তেমনই বার্তা দেয়—মেয়েশিশু যেন আর কখনও অবহেলার শিকার না হয়।






