জীবন গড়ার স্বপ্নপূরণ করতে জর্জ টেলিগ্রাফের স্কিল ফেয়ার, উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটছে পড়ুয়ার
George Telegraph's Skill Fair is developing the innovative power of students to fulfill their dreams of building a life

Truth Of Bengal: রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা থেকে আধুনিক প্রযুক্তি সবেতেই জর্জ টেলিগ্রাফ বিশেষ ব্রান্ড হয়ে উঠতে চায়।১০৫বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে এই প্রতিষ্ঠান জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে এসেছে। নতুন প্রজন্মের পড়ুয়াও কর্মপ্রার্থীরা জর্জ টেলিগ্রাফকে প্রিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেছে নেওয়ায় কেরিয়ারের বিকাশ ঘটছে তাঁদের। জর্জ টেলিগ্রাফ শিয়ালদার প্রধান ক্যাম্পাসে আয়োজন করেছে দুদিনের কেরিয়ার ফেয়ার।
কাজের বাজারে দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছে জর্জ টেলিগ্রাফ। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে স্কিল ফেয়ার ২০২৫। শিয়ালদার প্রধান ক্যাম্পাসে সৃষ্টিশীল পড়ুয়ারা তাঁদের উদ্ভাবনী দক্ষতা তুলে ধরেন। মঙ্গলও বুধবার, দুদিনের এই কারগরি প্রদর্শনীর দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন।
জীবন গড়ে দেওয়ার জন্য বিগত ১০৫ধরে কাজ করছে জর্জ টেলিগ্রাফ। পড়ুয়ারা এই পুরোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় শুধু জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাপূরণ বা স্বপ্নপূরণের জন্য সংস্থা কাজ করে চলেছে। একথাই প্রতিষ্ঠানের কর্তারা তুলে ধরেছেন। থিওরির সঙ্গে প্রাক্টিক্যাল জ্ঞানও এখানে পায় নতুন পড়ুয়ারা। যাতে হাতে কলমে শিক্ষা লাভ হয়। অন জব ট্রেনিং থেক ইনডাস্ট্রি এক্সপোজার, সবই সমান গুরুত্বের সঙ্গে এই বহুমুখী প্রশিক্ষণ দানকারী সংস্থা করে চলেছে বলেও জর্জ টেলিগ্রাফ সংস্থার কর্মকর্তারা তুলে ধরেন।
দক্ষতার মাপকাঠিতে যাতে নবপ্রজন্ম স্বপ্ন ছুঁতে পারে সেজন্য এবার শতবর্ষের ঐতিহ্যবহনকারী প্রতিষ্ঠানের শিয়ালদা ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে স্কিল ফেয়ার। মঙ্গলবারও বুধবার দুদিনের এই স্কিল ফেয়ারে পড়ুয়ারা নানা কারিগরী প্রদর্শনী তুলে ধরছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছে ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের উদ্ভাবনী দক্ষতা তুলে ধরেন। আধুনিক প্রেজেনটেশন দেখে অনেকেই অভিভূত হন। স্কিল ফেয়ারের কার্যকারিতা ব্যাখা করেন জর্জ টেলিগ্রাফের এমডি সুব্রত দত্ত। তিনি বলেন, জর্জ টেলিগ্রাফ হল জীবন গড়ে দেওয়ার কারখানা। যাঁরা জর্জ টেলিগ্রাফে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরা প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য। শিল্পসংস্থাও পেশাদারি জগতে প্রতিষ্ঠিত করে দেওয়ার মিশন নিয়ে তাঁরা এগিয়ে এসেছেন। জর্জ টেলিগ্রাফের ট্রাস্টি-ডিরেক্টর অনিন্দ দত্ত, ব্যাখা করেন, সংস্থার তরফে টেকিনিক্যাল ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। স্বপ্নসন্ধানীরা এখানে প্রত্যাশামতো পেশাদারি জগতে পৌঁছে গিয়ে অভাবনীয় সাফল্য পাচ্ছে।
এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নেতাজি সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটি (NSOU), ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (NSDC), এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (NCVET)। কর্মমুখী ও বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি একটি অনন্য নাম বলে দাবি করছেন জর্জ টেলিগ্রাফের মাথারা। জর্জ টেলিগ্রাফের স্কিল ফেয়ারের অনুষ্ঠানে উদ্ভাবনী ভাবনা দেখা যায়। হেলমেট ছাড়া স্টার্ট নেবে না কোনও বাইক, হেলমেট পড়লেই বাইক স্টার্ট হয়ে যাবে। আবার কেউ যদি মদ্যপ অবস্থায় থাকে সে ক্ষেত্রেও বাইক স্টার্ট হবে না কারণ হেলমেট এর মধ্যে এমনই একটি সেন্সর বসানো রয়েছে যে সেন্সর বলে দেবে উক্ত ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় রয়েছে, তাই তার বাইক স্টার্ট হবে না। সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফের মতোই জল পানের জন্যও নতুন মেশিন আবিষ্কার করে তাক লাগিয়েছেন পড়ুয়ারা। “স্কিল ফেয়ার ২০২৫” ফের একবার প্রমাণ করল যে, দি জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, আত্মবিশ্বাসী ও কর্মসংস্থানযোগ্য করে তুলতে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আশা করা হচ্ছে, সৃজনশীল কাজে যাতে পড়ুয়ারা এগিয়ে আসে, সেজন্য কেরিয়ার ফেয়ারে যে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় তা বেশ তাত্পর্যবাহী। জীবন-জীবিকার মান্নোয়ন ঘটাতে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান তাই প্রশিক্ষণে আধুনিকীকরণ, পেশাদারিত্ব বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।