Uncategorizedদেশ

ফের পুলিশের টার্গেটে মণীশ-সত্যেন্দ্র, কোন পথে আম আদমির দুই শীর্ষ নেতার ভবিষ্যৎ?

Manish-Satyendra are again targeted by the police, what is the future of the two top leaders of Aam Aadmi Party?

Truth Of Bengal: ফের চাপে পড়লেন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির দুই নেতা মণীশ সিসৌদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈন। দিল্লিতে সরকারি স্কুলে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ২০০০ কোটি টাকা। অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রীপদে থাকাকালীন  সময় ২ হাজার কোটির তছনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আপের এই দুই শীর্ষ নেতা। এই আবহে বুধবার মণীশ সিসৌদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈনকে তলব করল দিল্লি পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা।চলতি সপ্তাহেই তাদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বলা বাহুল্য, গত এপ্রিল মাসেই তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এবার সেই মামলাতেই এবার চাপ বাড়ল মণীশ-সত্যেন্দ্রর।

গত ৩০ এপ্রিল দুর্নীতি দমন শাখা (এসিবি)  আম আদমি পার্টির দুই নেতার বিরুদ্ধে ২,০০০ কোটি টাকার বিশাল দুর্নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগে দুর্নীতি দমন শাখার তরফে জানান হয়েছে, আপের শাসনকালে ১২,০০০-এরও বেশি শ্রেণিকক্ষ এবং স্কুল ভবন অত্যধিক ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল। আর সেইসময় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। অন্যদিকে সত্যেন্দ্র জৈন ছিলেন পিডাব্লুডি সংক্রান্ত মন্ত্রী। তাই শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ দুর্নীতির সঙ্গে তারা যুক্ত ছিলেন বলে দাবি দুর্নীতি দমন শাখার।

সেইসঙ্গে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর প্রধান মধুর ভার্মা জানিয়েছিলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ব্যয় অর্থ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে প্রকল্পটি অনুমোদিত ব্যয়ে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে, ভবিষ্যতে ব্যয় বৃদ্ধির কোনও সুযোগ থাকবে না। তবে, এই নির্দেশাবলী সত্ত্বেও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটিও কাজ সম্পন্ন হয়নি। এরপরেই ২,৮৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১২,৭৪৮টি স্কুল শ্রেণীকক্ষ নির্মাণে দুর্নীতির বিষয়ে দিল্লির বিজেপি মুখপাত্র হরিশ খুরানা, বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, নীলকান্ত বক্সী অভিযোগ করেছিলেন। এরপরেই এই পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন শাখা।

উল্লেখ্য,  আবগারি মামলায় এমনিতেই বিপাকে দিল্লিতে প্রাক্তন আপ সরকার। খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে কার্যত অর্ধেক মন্ত্রিসভা এই মামলায় জেলে গিয়েছিল। সেইসঙ্গে গত এক বছর ধরে  সিসোদিয়া এবং জৈন দুজনেই পৃথক পৃথক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আবগারি নীতি মামলায় সিবিআই এবং ইডির হাতে গ্রেফতার  হয়েছিলেন সিসোদিয়া। সেইসঙ্গে অর্থ পাচার মামলায় গ্রেফতার হন সত্যেন্দ্র জৈন। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের দুর্নীতিতে নাম জড়াল আম আদমি পার্টির দুই নেতা মণীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈন। তবে এই নিয়ে এখন পর্যন্ত দুজনের তরফ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Related Articles