টেরর ফান্ডিংয়ে কলকাতা যোগ, কিনারা করতে তদন্তে নামল এনআইএ
Kolkata joins terror funding, NIA launches investigation to curb it

Truth Of Bengal: জঙ্গিদের আর্থিক লেনদেনে কলকাতা যোগ সামনে আসতেই শোরগোল। পাক চর সন্দেহে ধ়ৃত মতিরাম জাঠের অ্যাকাউন্টে যে ২২হাজার টাকা জমা পড়েছে,তা মোমিনপুর থেকে পাঠানো হয় । এনআইএ সেই গোপন তথ্য হাতে পেতেই নেমেছে তদন্তে।সূত্রের খবর, হাওলার মাধ্যমে এই বেআইনি লেনদেনের কারবার চলতো।
পাক চর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে জ্যোতি মলহোত্রাকে।জ্যোতির গোপন কাজের পর্দা ফাঁস হতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় ভারতীয় গোয়েন্দাদের।তদন্তে নেমে ধরা হয়,একের পর এক চরকে।জালে তোলা হয় সিআরপিএফ জওয়ান মতিরাম জাঠকে। সেই মতিরাম জাঠের কাছে যে টাকা যায় তা মোমিনপুরের একটি দোকান থেকে পৌঁছায়। আইএসআই এজেন্ট সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া মতিরাম জাটের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২২,০০০ টাকা জমা করা হয়েছিল। এনআইএ-র তদন্তে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। এদিকে, রবিবার এনআইএ অফিসে তাপসিয়ার হোটেল কর্মচারী মোহাম্মদ ওয়াকিলকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জানা যায়, ইন্টালির বাসিন্দা আইনজীবী একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মী। আইনজীবী ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে মতিরামকে টাকা পাঠাতেন। এনআইএ বিশ্বাস করে যে এই টাকা পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। শনিবার মোমিনপুরে অবস্থিত দোকানটিতে তল্লাশি চালায় এনআইএ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দেখতে পান যে ২২,০০০ টাকা ছাড়াও, দোকানের মালিক মতিরামকে তিনটি কিস্তিতে ১৩,৫০০, ১৫,০০০ এবং ৫,০০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন। এই টাকা হাওলার মাধ্যমে এসেছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে এনআইএ। সোমবার দোকানের মালিককে তলব করা হয়।
পহেলগাঁওয়ের হামলার আগে পাক চর সন্দেহে ধৃত মতিরাম জাঠের অ্যাকাউন্টে মোমিনপুরের দোকান থেকে জমা হয় ২২ হাজার টাকা। এনআইএ-র তদন্তে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এদিকে তপসিয়ার হোটেল কর্মী মহম্মদ ওয়াকিলকে রবিবার এনআইএ দপ্তরে দফায় দফায় জেরা করা হয়। এন্টালির বাসিন্দা ওয়াকিল প্রাক্তন সেনাকর্মী বলে জানা গিয়েছে।