ভারতে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে কোভিড-১৯! সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সতর্কতা, নতুন সাবভেরিয়েন্ট পর্যবেক্ষণে
Alert over rise in COVID-19 infections in South Indian states, new subvariant on watch

Truth Of Bengal: দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শনিবার কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ হোম আইসোলেশনে রেখেই চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আশ্বস্ত করেছে যে পরিস্থিতির উপর তারা নিবিড় নজর রাখছে এবং একাধিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
INSACOG-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে NB.1.8.1 নামক উদীয়মান কোভিড সাবভেরিয়েন্টের একটি এবং LF.7 সাবভেরিয়েন্টের চারটি কেস সনাক্ত হয়েছে। এই সাবভেরিয়েন্টগুলো বর্তমানে WHO-এর পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতে JN.1 এখনও প্রধান ভ্যারিয়েন্ট হলেও NB.1.8.1 সাবভেরিয়েন্টটির স্পাইক প্রোটিনে থাকা মিউটেশন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় এটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
Covid Cases Rise Across India, Most Infections Mild; Deaths Reported In Karnataka, Maharashtra#referindia #referindianews #news18https://t.co/17p42RAES3
— ReferIndia (@ReferIndia) May 25, 2025
বেঙ্গালুরুতে ৮৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ এবং মহারাষ্ট্রের থানে ২১ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে উভয়েই কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন এবং গুরুতর সহ-অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
কর্ণাটক স্বাস্থ্য বিভাগ এক সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, শনিবার বেঙ্গালুরুতে প্রথম COVID-19 সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এটি রাজ্যের জন্য একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত, কারণ সম্প্রতি আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কর্ণাটকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৫ জন COVID-19 আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩২ জনই বেঙ্গালুরু শহরের বাসিন্দা। এই পরিসংখ্যান স্পষ্টভাবে বোঝাচ্ছে যে, বেঙ্গালুরু বর্তমানে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের মুখোমুখি।
এরই মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে—শুক্রবার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান যে, বেঙ্গালুরুতে নয় মাস বয়সী একটি শিশু COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছে। শিশুটির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২২ মে, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (RAT) পরীক্ষার মাধ্যমে। শিশুটি বর্তমানে বেঙ্গালুরুর কালসিপালিয়ার বাণী বিলাস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শিশুটি বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলার হোসকোট এলাকার বাসিন্দা এবং প্রথমে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর জোর দিয়েছে।
দিল্লি, নয়ডা, হায়দ্রাবাদ, থানে, ইন্দোর, ঋষিকেশ এবং অন্যান্য শহরেও হালকা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সিঙ্গাপুর ও হংকং-সহ কিছু দেশে কোভিড সংক্রমণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে WHO বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে এখনো এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি যে এই রূপগুলো পূর্ববর্তী রূপগুলোর তুলনায় বেশি সংক্রমণযোগ্য বা মারাত্মক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশবাসীকে সচেতন থাকতে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।