জওয়ানদের অপমানে ফেটে পড়লেন যাত্রীরা! সিট ছেড়ে দেখালেন সম্মান
Passengers were outraged by the insults to the jawans! They left their seats to show respect

Truth Of Bengal: ঘটনাটি আমাদের দেশের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা ও দেশের সৈনিকদের প্রতি ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। জরুরি ভিত্তিতে ডিউটিতে ফিরে যেতে হচ্ছে। কেউ বিয়ে বাতিল করেছেন, কেউ প্রয়োজনীয় ঘরোয়া কাজ পিছিয়ে দিয়েছেন, কেউবা ছুটি ফেলে কর্মস্থলে ছুটে যাচ্ছেন — এ যেন দেশসেবার এক নিঃশব্দ প্রতিজ্ঞা।
তেমনই একদিন, প্রায় চল্লিশজন সেনা জওয়ান কামাখ্যা অভিমুখে যাচ্ছিলেন নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসে করে। তারা কানপুর ও ফতেপুর থেকে ট্রেনে উঠলেও সংরক্ষিত কামরায় তাঁদের জন্য কোনও টিকিট ছিল না। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা এসি কামরার শৌচালয়ের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় টিটিই এসে তাঁদের বলেন যেন তাঁরা অনির্ধারিত কামরায় চলে যান।
এখানে ঘটে এক অসাধারণ ঘটনা। সাধারণ যাত্রীরা জওয়ানদের এই অবস্থা দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি। তাঁরা নিজে থেকেই তাঁদের সিট ছেড়ে দেন, কেউ সরে বসেন, কেউ পাশে জায়গা করে দেন। এর ফলেই জওয়ানরা স্বস্তিতে বসে যেতে পারেন। এই মানবিক সহযোগিতা শুধু সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা নয়, দেশের প্রতি ভালবাসার এক বাস্তব নিদর্শন।
এই ঘটনার একটি ভিডিও যাত্রী বিনয় সাক্সেনা তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তিনি ভিডিওটির মাধ্যমে রেলমন্ত্রী ও রেল আধিকারিকদের ট্যাগ করে বলেন, “মহাকুম্ভের জন্য যদি হাজার হাজার ট্রেন চালানো যায়, তবে এই সঙ্কটকালে দেশের সেনাদের জন্য কেন এই অব্যবস্থা?” ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ট্রেন প্রয়াগরাজে পৌঁছাতেই রেল অফিসাররা ছুটে আসেন ও সেনাদের বসার ব্যবস্থা করেন।
একজন সেনা জওয়ান আবেগঘন ভাবে বলেন, “আমার বিয়ের দিন ছিল ১৮ মে। বিয়ে তো পরে করাই যাবে, কিন্তু দেশমাতাকে সঙ্কটে রেখে তা করা সম্ভব নয়।” তাঁর এই বক্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতা ও আত্মত্যাগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই ঘটনা প্রমাণ করে, সংকটের মুহূর্তে দেশের সাধারণ মানুষ ও বীর সৈনিকেরা একে অপরের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত—এটাই আমাদের আসল শক্তি।