দেশ

পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানি জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি! তথ্য দিলেই মিলবে ২০ লক্ষ টাকা

Search underway for Pakistani militants after Pahalgaon attack! Information worth Rs 20 lakhs

Truth Of Bengal: জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁও ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর অভিযুক্ত পাকিস্তানি জঙ্গিদের সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কাশ্মীর পুলিশ। হামলাটিতে প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে ছিলেন ২৫ জন ভারতীয় পর্যটক ও একজন নেপালি নাগরিক।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিলে ২০ লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। শোপিয়ান জেলার বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীদের ছবি সম্বলিত পোস্টার টাঙানো হয়েছে, যেখানে বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে: “সন্ত্রাসমুক্ত কাশ্মীর”। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, তথ্যদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে।

সনাক্ত তিন জঙ্গি

পুলিশের মতে, হামলার পেছনে থাকা তিন সন্ত্রাসী হলেন: আদিল হুসেইন ঠোকার – কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বাসিন্দা, আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই – পাকিস্তানি নাগরিক, হাশিম মুসা ওরফে সুলাইমান – পাকিস্তানি নাগরিক।

তিনজনই পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা-র সদস্য। হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, যা লস্কর-ই-তইবার একটি শাখা সংগঠন বলে মনে করা হয়।

এই হামলা কাশ্মীর উপত্যকায় ২০১৯ সালের পুলওয়ামা আত্মঘাতী হামলার পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পর্যটকদের জনপ্রিয় গন্তব্য বৈসারান ময়দান-এ জঙ্গিরা নির্বিচারে গুলি চালায়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বহু নিরীহ মানুষ।

২২ এপ্রিলের হামলার জবাবে ভারত ৭ মে চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। ভারত জানায়, এর মাধ্যমে সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসকে আশ্রয় দেওয়া শক্তিগুলোকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।

জবাবে পাকিস্তান ভারতের সীমান্তবর্তী সেনা ছাউনি ও বেসামরিক এলাকায় হামলা চালায়। ভারতও পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তানের ১১টি কৌশলগত বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার ফলে তাদের সামরিক সক্ষমতা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকদিনের সীমান্ত উত্তেজনার পর ১০ মে যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় পৌঁছায় ভারত ও পাকিস্তান। তবে সেদিন রাতেই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে।

সোমবার বিকেল ৫টায় দুই দেশের সামরিক কার্যনির্বাহী প্রধানদের (DGMO) মধ্যে হটলাইন আলোচনায় উভয় পক্ষ সম্মত হয়, যেন কেউ “একটি গুলিও” না ছোড়ে এবং কোনও “শত্রুতামূলক বা আক্রমণাত্মক” কার্যক্রম না চালায়। পাশাপাশি সীমান্ত ও অগ্রবর্তী অঞ্চল থেকে সেনা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, “উভয় পক্ষই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সীমান্তে উত্তেজনা হ্রাস করতে অবিলম্বে সেনা সংখ্যা কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

Related Articles