রোহিতের পথের সওয়ারি বিরাট-ও! টেস্ট খেলতে রাজি নন বলে বোর্ডকেও বার্তা
Virat Kohli is on Rohit's path! He also sends a message to the board saying he is not willing to play Tests

Truth Of Bengal: মাত্র তিন দিন আগের কথা। আচমকাই সবাইকে অবাক করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন রোহিত শর্মা। অবসরের কথা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও ঘোষণাও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রোহিতের এমন সিদ্ধান্তের মাত্র ৭২ ঘণ্টা পরেই তাঁরই দেখানো পথে নাকি হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় দলে রোহিতের অন্যতম সতীর্থ বিরাট কোহলি।
একটি বহুল প্রচলিত ইংরেজি দৈনিক সূত্রে খবর, বিরাট নাকি আর টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান না বলে একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছেন। এবং তাঁর এই সিদ্ধান্ত কোহলি ইতিমধ্যেই নাকি বোর্ডের কর্তাদের কাছে জানিয়ে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, বোর্ড কর্তারা নাকি বিরাটের এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও হকচকিয়ে গিয়েছেন। কেননা রোহিত শর্মার অবসরের মাত্র ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিরাটের এমন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হবে, তা তাঁরা কল্পনাতেও আনেননি। এবং বোর্ডের বেশ কিছু কর্তা নাকি বিরাটকে তাঁর এমন সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার জন্য অনুরোধও করবেন বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কোহলি একবার যখন টেস্ট ক্রিকেট থেকে তাঁর সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছেন সুতরাং আর তিনি পিছনে হাঁটবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও অবধি টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজের সরে আসার বিষয়টি বিরাট সরকারিভাবে জানাননি।
উল্লেখ্য, বিরাট ও রোহিত ২০২৪ সালের জুন মাসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে আলবিদা জানিয়েছিলেন। তাহলে এবার কি টেস্ট ক্রিকেটও এই একই ছবি দেখা যাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে ক্রিকেট মহলে। বিরাট জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মোট ১২৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর সংগ্রহ ৯,২৩০ রান। গড় ৪৬.৮৫। তার মধ্যে ৩০টি শতরান এবং ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে।
বিরাট গত বছর থেকেই ব্যাট হাতে লাল বলের ক্রিকেটে একেবারেই ছন্দহীন হয়ে পড়েছেন। এমনকি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে একটি ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি সব কটা ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এবার ভারতের ইংল্যান্ড সফর। এবং এই সফর ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতে গেলে ইংল্যান্ড সফরে ভারতকে ভাল ফল করতেই হবে।
সেক্ষেত্রে রোহিতের বদলে বিরাটকেই সিনিয়র হিসাবে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি বিরাটের ওপরই যে অনেক কিছু নির্ভর করছিল সেটা ধরে নিয়েই হয়ত ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন বোর্ড কর্তারা। কিন্তু যদি বিরাট সত্যিই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে যে ইংল্যান্ড সফরের আগে ভারত বড় ধাক্কা খাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।