আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, প্রযুক্তি ও পরিষেবায় আসছে আমূল পরিবর্তন
Groundbreaking decisions, radical changes coming in technology and services at Asansol District Hospital

Truth Of Bengal: শনিবার সকালে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের সাক্ষী থাকল আসানসোল জেলা হাসপাতাল। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় রোগী কল্যাণ সমিতির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, বর্ধমান জেলার জেলাশাসক এস. পন্না বালাম, জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক ও রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।
বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। হাসপাতালের প্রযুক্তিগত সমস্যা, পরিষেবা সংক্রান্ত অসুবিধা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়।
বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় নতুন সিসিইউ পরিচালনা ও দ্রুত কার্যকর করার বিষয়ে। আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার অঙ্গ হিসেবে এই ইউনিটে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষিত নার্স ও ডাক্তারদের উপস্থিতি এবং নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে গৃহীত মুখ্য সিদ্ধান্তগুলি: নতুন সিসিইউ ইউনিট সম্পূর্ণরূপে চালু করা ও নিয়মিত তদারকি,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও হাসপাতালের ভিতরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা, যাতে রোগী পরিষেবা আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ হয়, নার্স ও সহকারী স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো, যাতে রোগীদের সঠিক সময়ে পরিষেবা পাওয়া যায়, রোগীদের অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইন নম্বর ও অভিযোগ বাক্স চালুর সিদ্ধান্ত।
জেলাশাসক এস. পন্না বালাম জানান, “আসানসোল জেলা হাসপাতালকে আধুনিক ও জনবান্ধব করে তোলার লক্ষ্যে এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পারস্পরিক সমন্বয় ও দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবার মানকে আরও উন্নত করা সম্ভব হবে।” মন্ত্রী মলয় ঘটকও আশ্বাস দেন, সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন একযোগে কাজ করে আসানসোলের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
এই বৈঠক ও সিদ্ধান্তগুলিকে ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে আশার সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, এতে করে রোগীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে এবং ভবিষ্যতে উন্নত পরিষেবা মিলবে আসানসোল জেলা হাসপাতালে।