নববর্ষে মোটিফ বানানোর খেসারত! পুড়ল চিত্রশিল্পীর বাড়ি
Painter's house burned down due to making motifs for New Year's Eve

Truth Of Bengal: ইউনূসের বাংলাদেশে অরাজকতার ছবি বারংবার উঠে আসছে। হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকে দাফায় দফায় জ্বলছে আগুন। মুছে ফেলা হয়েছে মুজিব স্মৃতি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, ভবন, ছাত্রাবাসের নামেও এসেছে পরিবর্তন। এমনকি বদলে দিয়েছে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম।
উল্লেখ্য, নবর্ষের আগেই শোভাযাত্রার জন্য বানানো মোটিফে লেগেছিল আগুন। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল হাসিনার মুখাবয়ব থাকা মোটিফ। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। তদন্ত জারি রয়েছে। তবে এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ। কারা ঘটালো এই ঘটনা ? কোন আক্রোশ থেকে শিল্পীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হল ? ঘনীভূত হচ্ছে ধোয়াঁশা।
বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোররাতে এই ঘটনা। সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের মানিকগঞ্জের বাড়িতে লাগে আগুন। একটি ঘর ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে খবর। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে শিল্পীর বিভিন্ন মূল্যবান চিত্রকর্ম।
জানা যায়, অগ্নিসংযোগের সময় মানবেন্দ্র ঘোষ বাড়িতেই ছিলেন। হতাহতের খবর না থাকলেও এই ঘটনায় প্রাণ সংশয় বেড়েছে চিত্রশিল্পীর। পরিবারকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। তিনি বলেন, “এ মুহূর্তে আমি সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছি। দুই-তিনদিন ধরে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। আর রাতে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।”
এখন বড়ো প্রশ্ন কে বা কারা আগুন লাগাল? কেউ কেউ বলছেন এর নেপথ্যে মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র রয়েছে। কারুর অভিযোগ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। অনেকের ধারণা, নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে হাসিনার মুখাবয়ব বানানোর খেসারত দিতে হল মানবেন্দ্র ঘোষকে। তবে মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন তিনি হাসিনার মুখাকৃতি বানাননি, শুধু বাঘের মোটিফ তৈরি করেছিলেন।
এই ঘটনার পরেই বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকি ক্ষোভপ্রকাশ করেন। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন ”শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে যারা হামলা করেছে তাদের ধরার জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন। গত কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগ মানবেন্দ্র ঘোষকে আক্রমণের জন্য হুমকি দিচ্ছিল।”
প্রসঙ্গত, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি মোটিফ। যার মধ্যে শনিবার আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায় হাসিনার মুখাবয়ব থাকা মোটিফটি। পাশাপাশি আংশিক ভস্মীভূত হয়েছে ‘শান্তির পায়রা’র মোটিফ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সেই ঘটনারই এবার তদন্ত করতে গড়া হয় ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।