বাংলাদেশি দুষ্কৃতী ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
Chief Minister questions Union Home Ministry's role in Bangladeshi miscreants issue

Truth Of Bengal: মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাত থাকলে তার দায় কার? কেন কালীদাসের মতো গাছে বসে ডাল কাটা হচ্ছে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে নেতাজী ইন্ডোরের ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, একবছর পর দিল্লিতে সরকার বদল হলে সমস্ত বিতর্কিত আইন বদল করা হবে। তিনি কটাক্ষ করেন, এনডিএ-র শরিকদেরও।
বাংলার মানুষ শান্তি চায়, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন চায় না। তাই বাংলার বাইরের লোক নিয়ে এসে বিজেপির বহিরাগতরা মুর্শিদাবাদে গন্ডগোল করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ট্যুইট হাতিয়ার করে কেন্দ্রকে চড়া সুরে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ইমাম-মোয়াজ্জেমদের একটি সভায় তিনি আশ্বাস দেন, দিল্লিতে সরকার বদল হবে,১বছর ধৈর্য ধরুন। কেন্দ্রে সরকার বদলালেই সমস্ত বিতর্কিত আইন বদল হবে।একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন,যদি বহিরাগতরা বাংলাদেশ থেকে আসে তাহলে তার দায় কী এড়াতে পারবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক? কারণ সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা যদি আসে তা দেখার কথা স্বরাষ্ট্রদফতরের। সেখানে রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই। বছরখানেক দিল্লির ক্ষমতায় আসবে নতুন দল। তখনই বদলাবে আইন। পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটের সমস্ত শরিকদের এই আইনের বিরোধীতায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ার বার্তাও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
যেদিন বিজেপি দিল্লি থেকে যাবে সেদিনই আইন বদলাতে হবে।একবছর সময় পর দেশে জনবিরোধী আইন বদলের কথাও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সবার হিতের জন্য ভরসা,বিশ্বাস রাখতে হবে। ভারতের ঐক্যের কাঠামো ধরে রাখলে লাভ হবে বলেও বার্তা দেন তিনি। জাতীয় সংহতির স্বার্থে এনডিএ সরকারের শরিক টিডিপি,জেডিইউ কেন চুপ তা নিয়ে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।