রাজ্যের খবর

গরমে প্রযুক্তিকে টক্কর দিচ্ছে মাটির কলসি, বাড়ছে স্বাস্থ্য সচেতনতা 

Clay pots are competing with technology in the heat, health awareness is increasing

Truth Of Bengal: প্রযুক্তি যতই এগিয়ে যাক, প্রকৃতির কাছেই যেন ফিরে যেতে হচ্ছে মানুষকে। নদিয়া জেলার শান্তিপুর কলেজ মোড় ও আশেপাশের এলাকাগুলি এখন সাজানো রয়েছে সারি সারি মাটির কলসি ও মাটির বোতলে। ক্রমবর্ধমান গরমের মধ্যে যেমন তাপমাত্রা অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে, তেমনি বৈদ্যুতিক ফ্রিজ বা কুলারের ঠান্ডা জল খেয়ে অনেকেই পড়ছেন স্বাস্থ্য সমস্যায়। গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, এমনকি জ্বরের সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। এই কারণেই আবারও ফিরছে মাটির কলসির প্রতি মানুষের ভরসা।

ব্যবসায়ী অমিত পাল জানিয়েছেন, “আমাদের পরিবারে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মাটির জিনিস বানানোর কাজ চলে আসছে। এক সময় প্রযুক্তির ভিড়ে এই ব্যবসায় ভাটা পড়েছিল। তবে এবার আবার চাহিদা বাড়ছে। শীতকাল জুড়ে কলসি তৈরি করি, গরম পড়তেই বিক্রি বেড়ে যায়।”

শুধু বাড়ির জন্য নয়, দোকান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, অফিস এমনকি ছোট চায়ের দোকানেও দেখা যাচ্ছে মাটির কলসি। ক্রেতারা বলছেন, ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা জল শরীরের ক্ষতি করছে। তার বদলে মাটির কলসির জল তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর, কারণ এই জলে স্বাভাবিক ঠান্ডাভাব বজায় থাকে এবং জলের স্বাদও অপরিবর্তিত থাকে।

মাটির কলসির পাশাপাশি বাড়ছে মাটির বোতলের চাহিদাও। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ৫০০ মিলিলিটার থেকে শুরু করে ২ লিটার পর্যন্ত জল ধরে এমন বোতল পাওয়া যাচ্ছে। শুধু উপযোগিতাই নয়, শিল্পীদের দক্ষ হাতে বোতলের গায়ে খোদাই করা নানান সুন্দর নকশাও ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

এখনকার দিনে যখন পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত বিকল্পের দিকে মানুষ ঝুঁকছে, তখন এই মাটির কলসি যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি আর আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেও মানুষের কাছে মাটির তৈরি এই প্রাচীন জলপাত্রই হয়ে উঠছে ভরসার নাম। এক কথায়, এই গরমে মাটির কলসি যেন প্রকৃতির শীতল উপহার।

Related Articles