পাহাড় জঙ্গলের হাতছানি,সঙ্গে উঁকি মাড়বে কাঞ্চনজঙ্ঘা
The mountains are surrounded by forests, and Kanchanjangha peeks out from them.

Truth Of Bengal : সবে মাত্র পড়েছে এপ্রিল মাস, এর মধ্যেই ভ্যাপসা গরমে রীতিমত অস্বস্তিকর অবস্থা মানুষের । কচিকাচা থেকে শুরু করে বয়স্করা সকলেই এই গরমে মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গরম পড়লেই পর্যটকদের মন উড়ু উড়ু করে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। অনেকেই আছেন যারা ভাবেন পাহাড়ে যাওয়া মানেই বিশাল খরচ খরচা। কিন্তু আপনি কি জানেন অল্প খরচেও পাহাড়ে যাওয়া যায়, ভাবছেন এমন ডেস্টিনেশন আছে কোথায়?
কালিম্পঙে রয়েছে এক ছোট্ট পাহাড়ি অফবিট ডেস্টিনেশন, যেখানে গেলে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য দেখে বারবার ফিরে যেতে মন চাইবে এই পাহাড়ি গন্তব্যে। সবুজে মোড়া এই পাহাড়ি গন্তব্যে গেলে আপনার সারা সপ্তাহের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি ঝোড়া, মাঝে মধ্যে আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যায় মেঘেদের লুকোচুরি। পাহাড়ি গ্রাম মানেই একের পর এক ফুল গাছ। যাদের গন্ধে মো মো করছে গোটা গ্রাম। এই গ্রামের নাম অনেকেই শোনেননি তাই পর্যটকদের তেমন আনাগোনাও নেই এখানে। যারা শান্ত নিরিবিলির খোঁজে নতুন নতুন ডেস্টিনেশনের খোঁজ করেন তাদের কাছে এই জায়গা হতে পারে সেরা জায়গা গুলির মধ্যে একটি। সন্ধ্যে নামলে পাহাড়ি গ্রামের পরিবেশ হয়ে ওঠে আরও মায়াবী। সেই মায়াবী পরিবেশে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা মোমো আর সঙ্গে সুপ, তাহলে তো পুরো জমে ক্ষীর। আর যদি ব্যবস্থা করা যায় বার্বিকিউ চিকিনের তাহলে ব্যপারটা আরও জমে যায় বলুন।
ঘরের ব্যাল্কানি থেকে দেখা যায় দূরে উঁকি মারছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই পাহাড়ি গ্রামের আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে হাঁটলেই দেখা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার চোখ ধাঁধানো দৃশ্য। সামনে থেকে দেখা যায় সিকিমের পাহাড়ও। ঋষি খোলা নদীর পাড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটালেও মন্দ লাগবেনা। ভাবছেন কিভাবে যাবেন? বেনদায় যেতে হলে আপানকে এনজেপি থেকে গাড়ি ভাড়া করে কালিম্পং এবং সেখান থেকে আরও একটি গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে হবে।