কলকাতা

‘মুখ্যমন্ত্রী কিছু একটা করবেন’, ৭ তারিখ কিসের ইঙ্গিত দিলেন কুণাল

'CM will do something': Kunal

Truth of Bengal: সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে একঝটকায় চাকরি হারালেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এই ঘটনায় গোটা রাজ্যে হইচই পড়ে গেছে। কেউ কেউ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন, এক শিক্ষিকা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে খবর। আরেক শিক্ষিকার মা এই ধাক্কা সামলাতে না পেরে হৃদরোগে মারা গেছেন। সংবাদমাধ্যমে চাকরিহারাদের কান্না আর হতাশার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদে পড়া শিক্ষকদের পাশে আছেন। ৭ এপ্রিল তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন। কী করা যায়, সেজন্য আইনজীবীদের সঙ্গে কথা চলছে।” তিনি আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আগে বলেছিলেন, সবার চাকরি যাবে না। কিন্তু আরেক বিচারপতি সবাইকে চাকরিচ্যুত করার রায় দিলেন। এটা ঠিক নয়। যাঁরা দোষী নন, তাঁদের কেন শাস্তি পেতে হবে? এই রায় মানা যায় না।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭ এপ্রিল চাকরিহারাদের সঙ্গে মঞ্চে যাবেন বলে নবান্ন থেকে জানিয়েছেন। কুণাল ঘোষের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী কিছু একটা করবেন। তিনি সব দিক দেখছেন। যেটা সঠিক, সেটাই হবে। যাঁরা চাকরি নষ্ট করে আনন্দ পাচ্ছেন, তাঁদের কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই। মমতা জানেন কীভাবে মানুষের ভালো হবে।”

এই ঘটনায় এসএসসি নতুন করে পরিকল্পনা করছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মুখ্যমন্ত্রী ও আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকার কী ভাবছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিরোধী দল বিজেপি এই রায়ের পর রাস্তায় নেমেছে। নয়াদিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন তাঁদের সাংসদরা। বিরোধী দলনেতা ৭ এপ্রিল কালীঘাটে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “যাঁরা বছরের পর বছর পড়িয়েছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা আছে। এসএসসি তাঁদের গ্রেস মার্কস দিক। রাজ্য সরকার এটা ভেবে দেখুক।” কুণাল ঘোষ জবাবে বলেছেন, “এখন আনন্দ করে উপদেশ দেওয়ার সময় নয়।”

এই রায়ে রাজ্যের মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়েছে। সবার চোখ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। ৭ এপ্রিল তিনি কী ঘোষণা করেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

 

Related Articles